সংক্ষিপ্ত
স্কুল শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি স্পিকার। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে বিজেপি। ধর্নায় দেয় শুভেন্দু অধিকারীরা।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু বিষয়টি বিচারাধীন বলে বিরোধী দলের আবেদন নাকচ করে দেন রাজ্য বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। বিধানসভা চত্ত্বরেই প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
বিজেপির অভিযোগ চাকরি ব়্যাকেটে সিনিয়র তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রীরা যুক্ত রয়েছে এই অভিযোগ তুলে সরব হন। অবস্থান বিক্ষোভে বসে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের মন্তব্যের পর রাজ্য মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর জটিলতা নিশ্চিত হয়েছে। এই সরকার যায় অযোগ্য প্রার্থীরা স্কুলে পড়িয়ে বেতন নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শত শত যোগ্য প্রার্থীরা চাকরির দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে । তারা মাসের পর মাস অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, 'এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যদি বিধানসভায় আলোচনা করা না যায় তাহলে এই বিষয় নিয়ে কোথায় আলোচনা করব?' তারপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিধানসভায় স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তারা হাউস ত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বিধানসভার লবিতে দাঁড়িয়ে বলেন, বিজেপি গঠনমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি বিজেপির কোনও সম্মান নেই। যদিও দীর্ঘক্ষণ বিধানসভায় বিক্ষোভ অবস্থান দেখিয়ে বিজেপি বিধায়করা হাউসে প্রবেশ করেন।
বিজেপি সদস্যরা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে সভায় মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করার দাবিতে সরব হয়। অবৈধ প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে বাড়তি পদ সৃষ্টর সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা নেয় কী করে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে থাকেন বিরোধী বিধায়করা। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলেন গোটা মন্ত্রিসভাই বেআইনি। তাই বিজেপি রাজ্যের ৪০ জন মন্ত্রীকেই গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা সচিব আদালতে জানিয়েছে, প্রার্থীদের স্কুলে নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভা শূন্যপদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও শিক্ষা দফতরের আধিকারীকরা। তিনি আরও জানিয়েছেন এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শিক্ষা সচিবকে আইনি পরামর্শ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষা সচিবের আদালতের বয়ানকেই হাতিয়ার করে নতুন করে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গোটা বিষয়টাই বেআইন। আদালত চেপে না ধরলে এই বিষয়টাই জানা যেত না। অন্যদিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জেল হেফাজতে রয়েছে।
west bengal assembly,