সংক্ষিপ্ত
তবে এই মামলার শুনানি নতুন করে হাইকোর্টে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
চাকরি বাতিল নয় ৩২ হাজার শিক্ষকের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষকদের একাংশ। এবার সেই মামলায় এই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। তবে এই মামলার শুনানি নতুন করে হাইকোর্টে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ৩২ হাজার শিক্ষককে অপ্রশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আদালতের রায় অনুযায়ী আগামী ৩ মাস এই শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। প্যারা টিচার হিসেবে বেতন। এই তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরাও ইতিমধ্যে যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির শুনানি হয়। এই শুনানিতে জানানো হয়েছিল পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে চাকরিহারা ৩২ হাজার শিক্ষকও। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করলে তবেই থাকবে চাকরি। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারারা। বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে শীর্ষ আদালত।