কসবা কাণ্ডে ভয়ঙ্কর মোড়! ৭ ঘণ্টার ফুটেজে পুলিশের হাতে এল হাড় হিম করা তথ্য, ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার পুলিশের হাতে এল ঘটনার দিনের সাড়ে সাত ঘণ্টার ফুটেজ। সেই ফুটেজেই ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর তথ্য। ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ২৫ জুন রাতে আতঙ্কিত অবস্থায় কলেজের গেটে আসছেন প্রথম বর্ষের আইনের ছাত্রী। তালাবদ্ধ দেট দেখে অহসহায়তার ছবি ফুটে উঠেছে তাঁর সারা মুখে। সেই সময় জইব ও প্রমিত নামের দুই অভিযুক্ত জোর করে তাঁকে গার্ড রুমে নিয়ে যায়। সেখানেই ঘটেছে সেই নির্মম ঘটনা।
তদন্তে উঠে এসেছে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ওরফে ম্যাঙ্গোর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, " আমার কী ক্ষমতা সবায় জানে, ওই মেয়েটাও জানত, আগে বহুবার করেছি। কিন্তু ও কমপ্লেইন করবে ভাবিনি, তাই গুরুত্ব দিইনি।"
নির্যাতিতাকে বহুদিন ধরেই সহবাসের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন মনোজিত বলে জানা গিয়েছে। তাতেই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তাঁকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার পরেই এক পরিচিত দাদাকে ফোন করে মনোজিত। তিনিই নাকি বহুবার তাঁকে আইনি জটিলতা থেকে বাঁচিয়েছেন বলে দাবি।
তদন্তকারীদের দাবি, ধর্ষণের পরে মনোজি। ওই দাদাকে অনুরোধ করে বলেন "দেখো যেন FIR না হয়, কিন্তু এই প্রথম সেই দাদার কাছ থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায় ঘাবড়ে যায় মনোজিত।"
ম্যাঙ্গো ও তার সঙ্গীরা কেউই ঘটনার পরে বাড়ি ছেলে পালায়নি। কারণ ম্যাঙ্গো তাদের বলেছিল " চিন্তা করিস না আমি সব সামলেনেব।"
এরপরে নির্যাতিতাকে ফোন করে সমানে হুমকি দেওয়া হয়। সেই কল রেকর্ডিংও পুলিশের হাতে এসেছে। এমনকী ধর্ষণের ভিডিও ডিলিট করতে বলা হয় দু সঙ্গীকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নির্যাতিতার সাহসিকতায় পুলিশের কাছে পৌঁছয় সব তথ্য। ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে।


