সংক্ষিপ্ত
কয়েক মাসে আগে ২০২৩ সালের টেটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। কিন্তু ১০ ডিসেম্বরে টেট হওয়ার নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
নির্ধারিত দিনে হবে না চলতি বছরের টেট পরীক্ষা (TET Exam)। সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আসন্ন ১০ ডিসেম্বর তারিখে প্রাথমিক শিক্ষক পদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু, পরীক্ষার ৬ দিন আগে, ৪ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে যে, বিশেষ কারণবশত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টেট পরীক্ষা ১০ তারিখের বদলে কবে হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ।
-
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, প্রতি বছর নেওয়া হবে টেট। সেই মোতাবেক ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে টেট হয়েছিল। কয়েক মাসে আগে ২০২৩ সালের টেটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। কিন্তু ১০ ডিসেম্বরে টেট হওয়ার নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে, পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিভিন্ন কারণের জন্য ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। তার বদলে ৭ দিন পিছিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করেছিল পর্ষদ। কিন্তু, যেহেতু ১৭ ডিসেম্বর SET অর্থাৎ স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে, সেহেতু ১৭ তারিখের বদলের আরও পিছিয়ে দিতে হয়েছে টেট পরীক্ষা।
-
বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে এবারের টেট নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর নেওয়া হবে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা।
-
২৪ ডিসেম্বর বেলা ১২ টা থেকে শুরু হবে টেট পরীক্ষা। শেষ হবে দুপুর আড়াইটেয়। এর আগে যখন প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তখন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বিএড পাশ করা পরীক্ষার্থীরাও। কিন্তু তারপর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, বিএড পাশ করা-রা আর টেট পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তাই ২০২৩ সালে আর বিএড-দের টেট পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র ডিএলএড-সহ প্রাথমিক শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই এবছর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।