সংক্ষিপ্ত
টাকার পরিমাণ ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করা হয়েছে। এবং এদিন এও বলা হয়েছিল যে, ক্লাবগুলির জন্য বিদ্যুতের ছাড়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। ৬৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে সেই ছাড়, বলা হয়েছে আগামী বছর সেই অনুদানের পরিমাণ ১ লক্ষ করা হবে।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে ক্লাবগুলিকে পুজোর জন্য বড় অনুদান ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছরেও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দুর্গাপুজোর অনুদান বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, এবছরের পুজোতে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে।
টাকার পরিমাণ ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করা হয়েছে। এবং এদিন এও বলা হয়েছিল যে, ক্লাবগুলির জন্য বিদ্যুতের ছাড়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। ৬৬ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে সেই ছাড় এবং বলা হয়েছে আগামী বছর সেই অনুদানের পরিমাণ ১ লক্ষ করা হবে।
এবার সেই টাকার অঙ্ক বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ২০২৪ সালে দুর্গা পুজোর জন্য ক্লাবগুলি পাবে নগদ ৮৫ হাজার টাকা। দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান আরও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬০ হাজার থেকে অনুদান একলাফে বেড়ে হল ৮৫ হাজার টাকা। আগামী বছর এই অনুদান বেড়ে হতে পারে ১ লক্ষ টাকা। এদিন তেমনই ইঙ্গিত দিলেন মমতা। শুধু অনুদান বৃদ্ধি নয়, বাড়ল বিদ্যুতের ছাড়ও।
অনুদান প্রসঙ্গে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য
তবে এবার সেই দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে একটি জনস্বার্থ মামলা উঠল হাইকোর্টে। জানা গিয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারী হলেন সৌরভ দত্ত এক জনৈক ব্যক্তি। তাঁর আবেদন, 'মানুষের রক্ত জল করা করের টাকায় দেওয়া অনুদান আদৌ কি রাজ্য সরকার, কোর্টের গাইডলাইন মেনে খরচ করছে? ক্লাবগুলিই বা পুজো অনুদানের টাকা কীভাবে খরচ করছে? খতিয়ে দেখুক কোর্ট। প্রয়োজনে উপযুক্ত সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিন।' প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলাটি। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।
এছাড়াও সূত্রের খবর, গত বছরের পুজোর সময়ও মামলা করেছিলেন সৌরভ । সেসময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্যকে খরচের খতিয়ান রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। CAG -কে দিয়ে খরচের হিসাব করাতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রিপোর্টও নাকি রাজ্য এখনও জমা দেয়নি। এবং কেন জমা দিল না তাই নিয়েও রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।