হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে ৮.৫ মিটার থেকে ৯.২ মিটার হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের ফলে এখন থেকে আরও বড় জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে, যা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

রেকর্ডস্তরে পৌঁছে গেল হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা। ৮.৫ মিটার থেকে বেড়ে এখন তা হয়েছে ৯.২ মিটার। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে আগামী দিনে আরও বড় জাহাজ আসতে পারবে হলদিয়ায়। বাড়বে রাজস্বও। বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে খুশি পাইলট গিল্ড অ্যাসোসিয়েশন।

জানা গিয়েছে, ১৮৭০ সাল থেকে পথ চলা শুরু কলকাতা বন্দরের। অতীতে একাধিক বার হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের নাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার লভ্যাংশ কমেছে। দীর্ঘদিন ধরে হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিং হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারবার আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই কারণেই সম্প্রতি হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা বাড়াতে উদ্যোগী হন বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারপরেই নাব্যতা বেড়েছে ৭০ সেন্টিমিটার।

এই প্রসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের পাইলট গিল্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃণাল ঘোষ বলেন, আগে কখনও ৯.২ মিটার নাব্যতা পাওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কলকাতা বন্দরেও নাইট নেভিগেশন চালু হয়েছে।

হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার ভবতোষ চাঁদ বলেন, বন্দর আধিকারিক ও পাইলটদের প্রচেষ্টার নাব্যতা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। আরও বড় জাহাজ ও আরও বেশি আমদানি-রপ্তানিকারক সংস্থা হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে যাতে ব্যবসা করতে পারে সে চেষ্টাও চলছে।

এদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, জাহাজের হাল থেকে নদীবক্ষের দূরত্ব থাকা উচিত ০.৬ মিটার। যাকে জাহাজের পরিভাষায় বলা হয় ইউকেসি। নাব্যতা যত বাড়বে তত বেশি পণ্যবোঝাই জাহাজ বন্দরে ঢুকবে। এতে বাড়বে রাজস্ব। ইউকেসি বজায় রেখে ৯.২ মিটার নাব্যতা হওয়ায় এখন বড় বড় জাহাজ অনায়াসে হলদিয়া বন্দরে যাতায়াত করছে। বন্ধর আধিকারিকদের দাবি, নাব্যতা বাড়লে টিপিসি বাড়বে। বর্তমানে প্যানামেক্স জাহাজ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ডিডব্লিউটি মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে হলদিয়া বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে।