সংক্ষিপ্ত
শুক্রবারই গ্রুপ ডি-এর খালি পদে কাউন্সেলিং-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে মোট ৪০ জন চাকরি প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর লিখে বিস্তারিত তথ্য।
অবশেষে ডি-এর শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুক্রবারই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। সম্প্রতি ওএমআর শিটে কারচুপির মামলায় গ্রুপ ডি পদে বাতিল হয়েছে ১,৯১১ জনের চাকরি। নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক অসঙ্গতি ও দুর্নীতির অভিযোগে এবং ওএমআর শিটে কারচুপির মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের জায়গায় এবার ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কমিশ। শুক্রবার জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাল এসএসসি।
শুক্রবারই গ্রুপ ডি-এর খালি পদে কাউন্সেলিং-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে মোট ৪০ জন চাকরি প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর লিখে বিস্তারিত তথ্য। এই ৪০ জনের মধ্যে কারোর ওএমআর শীট যদি টোম্পারিং-এর ঘটনায় অভিযুক্ত হন, তবে তাঁদের আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাতল বলে গণ্য করা হবে। আগামী ২ মার্চ চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে বলে জানানো হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কল লেটার ডাউনলোড করতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। সেইদিনই কাউন্সেলিং-এর স্থানও জানতে পারবেন তাঁরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইট কল লেটার ডাউনলোড করা যাবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গ্রুপ-ডি পদে চাকরি যায় ১,৯১১ জনের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অবিলম্বে এই চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছিল কমিশন। এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছিল কমিশন। বিচারপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না। শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর আইনজীবী নিজে মুখেই স্বীকার করেন যে ১,৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি প্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, আদালতকে তাও জানান আইনজীবী। কমিশনের দেওয়া তথ্য যাচাই করার পর ওই সব প্রার্থীর চাকরির জন্য যে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল তা হলফনামা দিয়ে স্বীকার করা হয়। চএই তথ্য সামনে আসার পরই চারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রার্থীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। আইন মেনে এসএসসিকে অবিলম্বে ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল আদালত। শুধু তাই নয় তৎকালীন এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নিল আদালত। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করার পাশাপাশি কাদের কথায় এত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে অবিলম্বে তাঁদের নাম জানাতে নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন -
প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, বরং পরিকল্পিত 'ষড়যন্ত্র', মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস ইস্যুতে সাফাই পর্ষদের