সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ২০২২ থেকে ভুরি ভুরি নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রীতিমতো কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজন।
নিয়োগ মামলায় বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। চলতি বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে নিম্ন আদালতের একাধিক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মোট শূন্য পদ ছিল ২০১৬। তবে সেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এমপ্লয়ি অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য ছিল, এতদিন যেখানে এই পদগুলিতে সরকার স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করত, তাহলে এবার অস্থায়ী পদে নিয়োগ কেন? হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কারণ কী!
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ তিন জেলায় অস্থায়ী পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল উচ্চ আদালত। জানিয়ে রাখি, নিম্ন আদালতের স্টেনো, পেশকর, বেলিফ, পিয়ন এবং কর্মবন্ধু অস্থায়ী পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন জাস্টিস অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
মামলাকারীদের দাবি ছিল, স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হোক। স্থায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করুক রাজ্য সরকার। এই দাবি নিয়ে দায়ের হয় মামলা। পাশাপাশি পদোন্নতির দাবি জানিয়ে মামলা হয়। এদিকে আদালতে রাজ্যের বক্তব্য, স্থায়ী নিয়োগ এবং পদোন্নতি কোনটাই বন্ধ হচ্ছে না। অনেক শূন্যপদ থাকায় অস্থায়ী নিয়োগ হচ্ছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ২০১৬ শূন্যপদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি পরীক্ষাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সবাই জানেন যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ২০২২ থেকে ভুরি ভুরি নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রীতিমতো কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। একদিকে আদালতে চলছে মামলা, অন্যদিকে হকের চাকরির দাবিতে রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। এরই মাঝে ফের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।