সংক্ষিপ্ত
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক রদবদলের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের নেতাদের এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট তারা মহুয়া মৈত্রের পাশে রয়েছেন।
এথিক্স কমিটির বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস মহুয়া মৈত্রের ওপর গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রীর করা হয়েছে। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের সাংসদ। ঘুষের বিনিময়মে সংসদে প্রশ্ন করা ইস্যুতে এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসাদ পদ খারিজের প্রস্তাব করেছে। সেই প্রস্তাব পাঠান হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনি জেলার চেয়ারপার্সেন করা হয়েছে চাপড়ার বিঝায়ক রুকবানুর রহমনকে। দলের এই সিদ্ধান্তের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক রদবদলের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের নেতাদের এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট তারা মহুয়া মৈত্রের পাশে রয়েছেন। কারণ তারা মহুয়ার থেকে দূরে সরে দাঁড়ানোর কোনও ইঙ্গিত দেননি। বরঞ্চ তাঁকে দলের পদ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর দলের সাংগঠনিকক্ষেত্রে বদল এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় একটি প্রশাসনিক জেলাকে একাধিক সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়েছিল। নদিয়া জেলাকে তখন দুইটি সাংগঠনিকভাগে ভাগ করা হয়। একটি কৃষ্ণনগর , অন্যটি রানাঘাট। যদিও তার আগে যখন নদিয়া একটি সাংগঠনিক জেলা ছিল তখন জেলার সভাপতি ছিলেন মহুয়া। কিন্তু জেলা বিভাজনের পরে তাঁকে আর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শুধু সাংসদ হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেছেন।
তৃণমূলের সূত্রের খবর রদবদলের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়ার এই দায়িত্ব প্রাপ্তিতে স্পষ্ট মমতা-অভিষেক দুজনেই তাঁর পাশে রয়েছেন। যদিও এর আগে মহুয়া একাধিকবার দাবি করেছিলেন দলের প্রধানরা তাঁর পাশেই রয়েছেন। এবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক কল্লোল খাঁ। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কাজ চালিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতিতে নেই। পদ ছাড়ার ইচ্ছেও ঘনিষ্ট মহলে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাতেই মহুয়ার পথ প্রসস্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ
অযোধ্যার দীপাবলির ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, ' আশ্চার্যজনক, ঐশ্বরিক ও অবিস্মরণীয় '
Controversial post: শিব ঠাকুর নিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুমুল বিতর্ক