সংক্ষিপ্ত

সিপিএম নেতা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শিব ঠাকুরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি তাঁর মহাদেবকে মদ ও গাঁজা সেবনের দেবতা বলেও মন্তব্য করেছেন।

সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কালীপুজোর এক দিন আগে অর্থাৎ ১১ নভেম্বর ফেসবুকে নিজের ছোটবেলার একটি ঘটনার কথা লিখেছিলেন সিপিএম নেতা। সেখানেই শিবঠাকুরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।

সিপিএম নেতা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শিব ঠাকুরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি তাঁর মহাদেবকে মদ ও গাঁজা সেবনের দেবতা বলেও মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তাঁর কাছে যারা পরিবার আর মানুষের কল্যাণের জন্য যান তাদেরও কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, শিবঠাকুরের ওপর বিশ্বাস রেখে যে পরিবারগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তার হিসেব কে রাখছে।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য লিখেছেন, 'নকুলেশ্বর লেন,কালিঘাট মহাকালি পাঠশালার গা ঘেষে একটি সরু গলি| মহিম হালদার স্ট্রীট থেকে নকুলেশ্বর লেনে ঢুকলে চার পাঁচটা বাড়ীর পরেই একটি ছোট্ট শিব মন্দির| ঐগলির মোড়ে স্কুলের লাগোয়া বাড়ীর রকে মাঝে মাঝে আড্ডা মারতাম আমরা কয়েকজন| একদিন সন্ধ্যাবেলায় দেখি এলাকার পরিচিত পোষ্টম্যান টলতে টলতে এসে ঐ মন্দিরের সামনে ধপ করে বসে পড়লেন| ছুটে গেলাম| দেখি,তিনি প্রার্থনা করছেন| 'বাাাাবাাাএসব তোমারই কৃপায় বাবাাাাা| তুমিই শিখিয়েছ| আমার বৌ ছেলে কে দেখ,বাাাাবাাাাা'|

তাঁর প্রর্থনা শুনে বেশ মজা পেলাম| এক দরিদ্র পোষ্টম্যানের উপলব্ধি | গাঁজা মদ সেবনের গুরু স্বয়ং মহাদেব| তাই মাতালের পরিবারের দেখভালের দায় ও মহাদেবকেই নিতে হবে|

এরকম বিশ্বাসে কত মানুষের পরিবার ধ্ব্ংস হয়েছে তার হিসাব কে রাখে?' যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকাশের এই পোস্ট রীতিমত ছড়িয়ে পড়েছে। ভিউ হয়েছে ২০৯। অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সেখানে তাঁকে ও তাঁর পার্টিকে কক্ষা করতেও পিছ পা হননি অনেকে।

তবে জাতীয় স্তরে বিকাশের মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে। সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি বলেছেন, কমিউনিস্ট পার্টি বরাবরই হিন্দু বিরোধী। এরা সর্বদাই হিন্দু সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেছেন, 'ভগবান শিব হলেন সমগ্র বিশ্বের সুরক্ষাকর্তা। তাঁর কাছে প্রার্থনা করা উচিৎ। বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য তিনি বিষ পান করেছিলেন।' চক্রপাণি আরও বলেছেন, ভগবান শিব কখনই মদ্যপান করেন না। তিনি ভগবান শিব সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের পরামর্শও দিয়েছেন। বলেছেন, সামান্য জ্ঞান খুবই বিপজ্জনক। পাশাপাশি এই মন্তব্যের জন্য বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।