সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রাতের ঘুম উড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে জোড়া ফুল। তার ওপর বসিরহাটে আদি ও নব্য তৃণমূলের মধ্যে ঝামেলার জের পড়তে পারে ভোটবাক্সে, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
বসিরহাট কেন্দ্র নিয়ে বেশ চাপে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রাতের ঘুম উড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে জোড়া ফুল। তার ওপর বসিরহাটে আদি ও নব্য তৃণমূলের মধ্যে ঝামেলার জের পড়তে পারে ভোটবাক্সে, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্বের পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে ভোটের মুখে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে তৃণমূল শিবির খানিকটা চাপে পড়তে পারে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অভিযোগ, এদিন আটপুকুর অঞ্চল থেকে আদি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন। অন্যদিকে বিহারী এলাকা থেকে নব্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আরও একটি মিছিল নিয়ে বের হয়। দু’টি মিছিল বিহারী অঞ্চলে মুখোমুখি হতেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আদি তৃণমূলের লোকজন নব্য তৃণমূলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তাঁদের ওপর, বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়ে বলে অভিযোগ। দুই শিবিরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাদানুবাদ হয় বলে খবর। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
নুসরত জাহানের পরিবর্তে এবার হাজি নুরুলকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার বিকেলে জোড়াফুল প্রার্থীর সমর্থনে হাড়োয়ার আটপুকুর এলাকায় তৃণমূলের তরফ থেকে দু’টি প্রচার মিছিল বেরোয়। তবে কিছু সময় পরেই দেখা যায়, ওই দুই মিছিলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব লেগে গিয়েছে!
লোকসভা নির্বাচনের শেষ দুই দফায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আসনে ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল বসিরহাট। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলই এই আসনে জেতার জন্য মরিয়া। সন্দেশখালি আন্দোলনের পর গোটা রাজ্যের নজর রয়েছে এই কেন্দ্রের দিকে। তার মাঝে বসিরহাট নিয়ে এমন কান্ডের জেরে কার্যত মুখ লুকোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।