সংক্ষিপ্ত
গঙ্গা- ফারাক্কা চুক্তি পুনর্নবীকরণে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেতে পারেন বড় আন্দোলনের পথে। লিখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের শেখ হাসিনা শনিবার গঙ্গা-ফারাক্কা চুক্তির পুনর্নবীকরণ করেছেন। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই সরব হয়েছে পশ্চিমঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি রাজ্যকে এড়িয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে। এতে রাজ্যের শাসক দল বাংলা বিক্রির ষড়যন্ত্রও দেখছে। অন্যদিকে জলবন্টণ চুক্তির বিরোধিতা করতে এনডিএ বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার শরিকদের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগাযোগ করছেন বলে সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রের খবর রাজ্যকে বাদ দিয়েই গোটা আলোচনা হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে চান। সূত্রের খবর তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দ্রুত চিঠি লিখতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়, দুই দেশ তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জল চুক্তির পুনর্নবীকরণ নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে একটি প্রযুক্তিগত দল বাংলাদেশে যাবে। এই প্রকল্পের অধীনে ভারত তিস্তার জল ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের জন্য বড় জলাধার ও সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। দুই দেশের মধ্যেই তিস্তার জল বন্টনের বিষয়ে একটি চুক্তি করা আর দীর্ঘদিনের অমীমাংশিত সমস্যার সমাধান করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র ও বাংলাদেশের এই আলোচনায় বাদ ছিল এই রাজ্য। যা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা দীর্ঘ দিন ধরেই জল বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। তাঁর দাবি এই চুক্তির জন্য ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের। মালদা ও মুর্শিদাবাদে নদী ভাঙন আর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ফারাক্কা ব্যারেজকেই দায়ী করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর ফারাক্কা গঙ্গা চুক্তিতে রাজ্য সরকারও পক্ষ। কিন্তু নবীকরণের বিষয়ে রাজ্যকে কিছুই জানান হয়নি। এটি অত্যন্ত খারাপ। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, চুক্তি বাবদ রাজ্য সরকারের পাওনা টাকা তাও বকেয়া রয়েছে। গঙ্গার ড্রেজিং বন্ধ রয়েছে। যা এই রাজ্যে বন্যা আর ভাঙন পরিস্থিতির জন্য দায়ী।