সংক্ষিপ্ত
দিনের পর দিন এক তরুণীকে নিজের বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণে এবার অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। মুক্তি পেয়েই তরুণী সরাসরি চলে যায় থানায়। অভিযোগ দায়ের করে। তারপর দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে। তবে তৃণমূল নেতার এভাবে গ্রেফতার হওয়ায় এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয় ঘাসফুল শিবিরকে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সত্যনারায়ণ মিশ্রের গাড়ির চালকের কাজ করলেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূল নেতাকে দাদু বলেও ডাকতেন ছাত্র। দিন সাতেক আগে ছলে বলে কৌশলে ছাত্রীকে নিজের বাড়়িতে আটকে রেখে বারবার ধর্ষণ করেছিল তৃণমূল নেতা। কোনও ফাঁকে তরুণী সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর নির্যাতিতা পরিবারেরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারপরই দ্রুত পুলিশ গ্রেফতার করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে।
এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সত্যানারায়ণ মিশ্র। সোনামুখী ব্লকের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তথা সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছে অভিযুক্ত। কিন্তু নাতনীর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসও অস্বস্তিতে পড়ে যায়। দ্রুত সাসপেন্ড করা হয় দলের সব পদ থেকে। তার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ এবং কর্মাধ্যক্ষের পদ যাতে খারিজ করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের পরে রাজ্যজুড়েই ধর্ষণ রুখতে কঠোর আইন আনার দাবি উঠেছে। এই দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন। রাজ্য বিধানসভায় সেই বিল পাশও করিয়েছেন। কিন্তু এখনও আইনপ্রনয়ণ হয়নি। তবে ধর্ষণ রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। তেমনই দাবি প্রশাসনের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।