সংক্ষিপ্ত

২০২৩ সালে ১৭মে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। টানা ১৩ মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।

 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। বহরমপুর ভোটের এক গিন পরেই সুপ্রিম কোর্ট জামিন মঞ্জুর করল বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। বড়য়া বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। তবে সিবিআই তদন্তের সময় নিজের দামি মোবাইল ফোন পুকুরের মধ্যে ফেলে দিয়েই চর্চায় এসেছিলেন বিধায়ক।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০২৩ সালে ১৭মে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। টানা ১৩ মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক প্রথমে জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সিবিআই তাঁকে প্রভাবশালী আখ্যা দিয়েছিল। তারপরই জীবনকৃষ্ণ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।

জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মূল অভিযোগ ছিল তিনি এসএএসি দুর্নীতি কাণ্ডের একজন মিডলম্যান। প্রসন্ন রায়কে দুর্নীতির কাজে তিনি সহযোগিতা করতেন। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গেছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট এদিন জীবনকৃষ্ণ সাহার আবেদনও মঞ্জুর করেছে।

জীবনকৃষ্ণর জামিন মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এসএএস বোপান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নিয়োগ মামলার চার্জশিটে যে ২৩ জনের নাম রয়েছে তার মধ্যে ৯ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে তিন জন জামিনে মুক্ত। আইনজীবীরা আরও বলেন, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন। যদিও সিবিআই জীবনকৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করেছে। কিন্তু তারপরেও সুপ্রিম কোর্ট জামিন মঞ্জুর করে।