সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্নীতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তারমত ভাল মানুষ হয় না। বললেন শাশুড়ি দিপালী গুপ্ত।
নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জামাইয়ের যোগ রয়েছে- এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও তা মানতে নারাজ শাশুড়ি। এখনও জামাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মাঝবয়সী মহিলা। জামাই যেকোনও মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসত। এমন দাবি করে শাশুড়ি দীপালি গুপ্ত জানিয়েছেন তাঁর জামাই নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অথচ টাকার বিনিময় বেআইনি চাকরি দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ইডি সূত্রের খবর শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অ্যাডমিট কার্ড, তিনশো চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকাও। যাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। ইডি জানতে চায় কিভাবে স্কুল শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে দুর্নীতি হয়েছে বা টাকার লেনদেন হয়েছে। ইডির অনুমান হুগলির তৃণমূল নেতা টাকার বিনিময় অনেককেই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু শনিবার শান্তনুর শাশুড়ি জানিয়ে দেন তাঁর জামাই নির্দোষ। তিনি আরও বলেন, 'ED ওকে যখন ডেকে ছিল তখনও আমি বিন্দুমাত্র চিন্তা করিনি। কারণ আমি জানি ও নির্দোষ। ও অত্যান্ত পরোপকারী ছিলে। রাতবিরেতে কারও কিছু হলেও ও ছুটে যেত। রাতেই সমস্যার সমাধান করত। ' তবে দিপালীর প্রশ্ন তাঁর জামাই যদি চাকরির বিনিয়ম টাকা নিয়ে থাকে তাহলে জামাইয়ের এত ঋণ হবে কেন? দিপানী আরও বলেন, শান্তনু একটা ভাল দফতরে কাজ করে সেইজন্য সকলেই ওর কাজে কাজ চাইতে যেত। তাঁর কাছেও শান্তনুর মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আবেদন অনেকেই করেছে বলেও এদিন জানিয়ে দিলেন শাশুড়ি দিপালী। তিনি আরও হলেন, শুক্রবাই মেয়ের সঙ্গে শেষবারের মত কথা হয়েছে। এখন তিনি জানেন না তাঁর মেয়ে কোথায় রয়েছে। কিন্তু এদিন জামাইয়ের কথা বলতে গিয়ে রীতিমত চোখে জল এসে গিয়েছিল শাশুড়ির। তিনি চোখে জল নিয়ে জানিয়ে দেন তাঁর জামাই আদতে ভাল লোক। তিনি আরও বলেন তাঁর জামাইয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি ছিল। চাকরিও করত। তার বাইরে তিনি আর কিছু জানেন না বলেও জানিয়েছেন।
হুগলি জেলা পরিষদে স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাও। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায় রাজ্য তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা শান্তনুর সম্পত্তির একটা লম্বা তালিকা হাতে পেয়েছে। সবই খতিয়ে দেখছে। তবে এদিন শান্তনুর শাশুড়িকে কুন্তলের কথাও জানতে চাওয়া হয়। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর যোগাযোগ ছিল কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়। তিনি অবশ্য কুন্তলের কথা মনেই করতে পারেননি। তিনি বলেন কুন্তলকে তিনি দেখেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে যখন বিয়ে হয়েছিল তখন শান্তনুর একটা মোবাইলের দোকান ছিল। ওদের একটি বনেদি বাড়ি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।