সংক্ষিপ্ত
একনাগাড়ে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর শরীর। বুকে পিঠে মাথায় গুলি লেগে ওই রাস্তাতেই বাইক থেকে পড়ে মারা যান তৃণমূল নেতা।
বঙ্গে রাজনৈতিক দলাদলি ও হিংসার আঁচ পড়েছে শাসকদলের ওপরেও। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু, ভোট মিটে গেলেও সেই হিংসার ছবি বদলাচ্ছে না। জেলায় জেলায় এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছেন মানুষ। শনিবার এমনই এক ভয়াবহ কাণ্ডে চাঞ্চল্য পড়ে গেল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাড়োয়ায়।
হাড়োয়ার খাসবালান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা বাজার চত্বরে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে গুলি করে খুন করা হল একজন তৃণমূল নেতাকে। নিহত নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। শনিবার রাত্রিবেলা অন্ধকার রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। তবে, এর জন্য বিপক্ষ কোনও দলকে দায়ী করেনি শেখ সাহেব আলির পরিবার। উলটে বরং, তৃণমূলেরই অন্য দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে শেখ সাহেব আলি যখন নিজের কাজ সেরে মোটরবাইকে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন, তখনই তাঁর পথ আটকায় জনা সাতেক দুষ্কৃতী। একনাগাড়ে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর শরীর। বুকে পিঠে মাথায় গুলি লেগে ওই রাস্তাতেই বাইক থেকে পড়ে মারা যান তৃণমূল নেতা। এরপর রাত প্রায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর পরিবারের মানুষজন জানতে পারেন যে, শেখ সাহেব আলির দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সামলা বাজারের রাস্তায়।
তৃণমূলের টিকিটেই এবছর পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শেখ সাহেব আলি। দলীয় পদ থেকে তাঁকে সরানোর জন্যই খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তৃণমূলের আরেক বিপক্ষ দল তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এই অভিযোগে রাত আড়াইটে পর্যন্ত মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ বাহিনীর সামনেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। তারপর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অনেকগুলি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় র্যাফ নামানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন-
Khalistani Attack: আবার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর! কানাডায় খালিস্তানি দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব
চার বছর পর আবার বাংলা ছবিতে কোয়েল মল্লিক, মুক্তি পাচ্ছে অরিন্দম শীলের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’
Long Covid: ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে লং কোভিড, ত্বকের ওপরে ফুলে উঠছে শিরা