সংক্ষিপ্ত

আদিবাসী ভোট জেতা বা বাঁচিয়ে রাখা দুই দলের পক্ষেই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই লড়াইতেই একদিনে জঙ্গলমহলে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ।

রাজ্য-রাজনীতিতে এই মুহূর্তে শিরোনামে রয়েছে জঙ্গলমহল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গের দুই যুযুধান পক্ষের পাখির চোখ আদিবাসী ভোট। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি দলীয় সভার পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবারেই জঙ্গলমহল অঞ্চলের গোপীবল্লভপুরে আয়োজিত হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভা। এই একই দিনেই বাঁকুড়ায় রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলীয় সভা। স্বভাবতই, রাজনীতির ময়দানে একই দিনে কে কাকে টক্কর দেবেন, সেই নিয়ে নজর রেখেছেন সারা বাংলার সাধারণ ভোটাররা।

২০২৩-এর শুরুর দিকেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে জেলায় জেলায় সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নজর রাখছেন, সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা। সেই মতোই মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম সফরে যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে, বাঁকুড়ায় এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দলীয় সভা হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ঘাসফুল এবং পদ্মফুল, দুইয়েরই টার্গেট আদিবাসীদের সমর্থন আদায়। তৃণমূল নেতা অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্য এবং রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়েই শাসকদলের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।

১৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার আদিবাসী নেতা বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে ঝাড়গ্রামে। সেদিনই ঝাড়গ্রামে সভায় অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ভোটার টানতে চাইছে পদ্মশিবিরও। উল্লেখ্য, শাসকদল তৃণমূল প্রতি বছরই বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনটি পালন করে থাকে। এখন ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে বিজেপিতেও নয়া উদযাপনের সংযোজন রাজনীতির খেলা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেই উদ্দেশ্যেই গোপীবল্লভপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাঁকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। এবিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‌আমরা দেখব কেন সভা বাতিল করেছে প্রশাসন। প্রয়োজনে আদালতে যাব। প্রশাসনের এমন করে সভা বাতিলের অধিকার আছে কি না, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। এটা তো মামারবাড়ি নয়।’‌

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভায় আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে ১৬টি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৬টির মধ্যে ১৩টিতেই এগিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল আসন পেয়েছিল মাত্র তিনটি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে অবশ্য সেই খামতি অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেজন্য, আদিবাসী ভোট জেতা বা বাঁচিয়ে রাখা দুই দলের পক্ষেই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই লড়াইতেই একদিনে জঙ্গলমহলে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ।

আরও পড়ুন-
ভূকম্পনের তীব্রতায় বারবার কেঁপে উঠছে উত্তর ভারত, মধ্যরাতে সারা পঞ্জাব জুড়ে আতঙ্ক
টাকা বা গয়না হাতানোর জন্য গলা কেটে খুন করা হয়নি রায়গঞ্জের গৃহবধূকে, চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ
ইস্তানবুলে হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়সড় পুলিশি সাফল্য, পাকড়াও করা হল ১ ব্যক্তিকে