Malda News: ভোটমুখি বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে মিম ইস্যু। বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ তৃণমূল সভাপতির। কী চলছে মুর্শিদাবাদ রাজনীতিতে? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Murshidabad News: বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের পর সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মালদহের তৃণমূল সভাপতির। ভোট কাটার দাবি করে নাম না করে বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ মিম পার্টি ও হুমায়নকে। জেলায় নতুন নতুন দল মুসলিমদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তারা বিজেপির দালাল বলে তীব্র আক্রমণের অভিযোগ। অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। যারা রাজনীতির খবরে থাকেন বা রাজনৈতিক চর্চা করেন তারা হয়ত এই নামটি জানবেন। কিন্তু কেন ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নামটি এত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতিতে? 

ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সভাপতি? 

মিম পার্টি ও তৃণমূলের সাপপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ন কবীরকে এইভাবেই নিশানা করে কটাক্ষ করলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি। শনিবার মালতীপুরের জালালপুরে রহিম বকসি নিজের এলাকায় ৪ হাজার ইমাম মোয়াজ্জেমকে সম্বর্ধনা দেন।

সেখান থেকে এমন বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রকাশ্যে মঞ্চে বলেন, ‘’এরা সংখ্যালঘু ভোটকে বিভাজন করে রাজ্যে বিজেপির সুবিধা করতে দিতে চাইছে। তাদের দালাল বলবে সাধারণ মানুষও। ওরা মুসলিমের নাম ভোট চাইবে।'' যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর মালদহের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা বলেন, ‘’এতদিন সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে সরকার চালিয়েছে তৃণমূল। ভাওতা দিয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার হরন করেছে। এখন তারা তৃণমূল থেকে সরে দাড়াচ্ছে।''

 একইভাবে উত্তরবঙ্গ জোনের মিম পার্টির সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘’বাংলায় বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের পর তৃণমূল নেতারা সাঁড়াশি চাপে রয়েছে। তাই ভুলভাল বকতে শুরু করেছে। সংখ্যালঘুরা আর তৃণমূলকে পছন্দ করেনা।'' 

অন্যদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে বাবরি মসজিদ তৈরির দাবি রাজ্যে "বাংলাদেশ তৈরির ষড়যন্ত্র"-এর অংশ। তিনি এটিকে "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার" বলে অভিহিত করেছেন এবং মুঘল সম্রাট বাবরের নামে মসজিদের নামকরণের সিদ্ধান্তের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

এএনআই-কে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গোটা দেশে কোথাও বাবরি মসজিদ না থাকলে, বাংলায় কেন মসজিদ তৈরি হচ্ছে? কারণ এখানে বাংলাদেশ তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে, আর এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার। মসজিদ বানানো ভুল নয়, কিন্তু বাবরের নামে কেন বানাচ্ছেন? বাবর একজন অত্যাচারী আক্রমণকারী ছিলেন।” ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই দিলীপের মন্তব্য বনাম মসজিদ রাজনীতি শোরগোল ফেলে দিয়েছে বঙ্গে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।