সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বিতর্ক। ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্যভবনে স্থানান্তরিত করা হল তাঁকে। সেই নিয়েই সরব সোশ্যাল মিডিয়া।

সন্দীপ ঘোষে নিয়ে রীতিমত নাজেহাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন আর ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সেখানের চিকিৎসকরা। আরজি কর থেকে রাতারাতি সন্দীপ ঘোষকে সরকার পাঠিয়েছিল ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানে পড়ুয়ারা তাঁকে ঢুকতেই দেয়নি। এবর রাজ্য সরকার সন্দীপ ঘোষকে পাঠায় স্বাস্থ্য ভবনে। তাঁর পদ অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি। কিন্তু তাই নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই সন্দীপের এই পদ নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর পদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেখানেই তিনি সন্দীপ ঘোষ ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের যুক্তিকতা তুলে ধরেন। নবান্নর পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন করেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেন। দেবাংশুর মন্তব্য হল, 'আবার একদল বলতে শুরু করেছে "সন্দীপ ঘোষকে আবার একটা পদে দিল সরকার।"

আরে ভাই শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ওকে কোন ইনস্টিটিউটের মাথায় বসানো যাবে না। তাই ওকে স্বাস্থ্য ভবনে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। সে একজন সরকারি কর্মচারী; কোথাও না কোথাও তো তাকে পোস্টিং দিতেই হবে! তাকে কি বসিয়ে স্যালারি দেবে সরকার?

আর বরখাস্ত কেউ তখনই হয় যখন কারো দোষ আদালতে প্রমাণিত হয়। ততদিন পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে জামাই আদর করে পয়সা দেবে সরকার? তাকে দিয়ে কাজ করাবে না? আজব তো!'

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দেবাংশুর এই পোস্ট। ইতিমধ্যেই ১৯ হাজার লাইক পেয়েছে। ৫০০ জনেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তাঁর সমালোচনা করেছেন। একজন তো লিখেছেন, 'বয়স হলে বুদ্ধি বাড়ে শুনেছি

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যের স্বাস্থ মন্ত্রীর কি শেষ পযন্ত বুদ্ধির বিনাশ ঘটছে???????

জাতি সেটাই দেখছে' । অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, নিরাপদ স্থান ওখানে আর কেউ তাড়া করবে না। অনেকে আবার বলেন, সারা দেশ সন্দীপের বিরোধী আবার তাকেই দিদি প্রমোশন দিচ্ছে- এটাই তৃণমূল।

যে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই সন্দীপকে আজ নিয়ে টানা সাত দিন জেরা করল সিবিআই। আজ শিয়ালদা কোর্টে পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদনও করেছেন। সন্দীপের সঙ্গে চার ডাক্তারির পুড়ুয়ার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।