সংক্ষিপ্ত
স্বামী সুব্রত সরকারের উপর একাধিক অভিযোগ আনেন পিঙ্কি। তিনি জানান একাধিক মহিলার সঙ্গে সুব্রত সরকারের সম্পর্ক। এবং শাসক দলের নেতা বলে বারবার তার উপর হুমকি আসে। শান্তিপুরে একটি মহিলার সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে সুব্রত।
বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, দুই কন্যা সন্তান। তার পরেও পালিয়ে গিয়ে আরেকটি বিয়ে করার ভূত চেপে ছিল মাথায়। সেই বিয়ে করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রথম স্ত্রী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে শান্তিপুর ব্লক এ'এর বর্তমান ব্লক সভাপতি সুব্রত সরকারের সাথে বিয়ে হয় শান্তিপুরের বাসিন্দা পিঙ্কি সরকারের। বিয়ের পর থেকেই সুব্রত সরকারের পরিবার তার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করতে থাকে। এরপর তিনি গর্ভবতী হন। যদিও সরকার পরিবার পিঙ্কির ওপর টাকা দেওয়ার চাপ দিতে থাকে। পরবর্তী সময়ে একাধিক বার পিঙ্কির বাবা সুব্রত সরকারকে লক্ষাধিক টাকা দেয় বলে জানান পিঙ্কি সরকার।
তবুও তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে সুব্রত সরকার এবং তার পরিবার। এর পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পিঙ্কি। কন্যাসন্তান হওয়ার পর পিঙ্কির ওপর নেমে আসে আরও দুর্ব্যবহার। কেন কন্যা সন্তান হল তাই নিয়ে চলে মারধর।
এরপর বাপেরবাড়ি চলে আসে পিঙ্কি। এরপর আবার ঝামেলা মিটলে সরকার পরিবারে ফিরে যায় সে। যদিও পরবর্তীতে সে আবার গর্ভবতী হলে বাচ্চা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু জোর করে বাচ্চা নিতে বাধ্য করেন সরকার পরিবার। আবার কন্যা সন্তান হওয়ায় ফের নির্যাতন শুরু হয় তার ওপর। সে আবার বাপের বাড়ি চোলে আসে এবং বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করলে বর্তমানে সেটি আদালতে বিচারাধীন।
যদিও তার স্বামী সুব্রত সরকারের উপর একাধিক অভিযোগ আনেন পিঙ্কি। তিনি জানান একাধিক মহিলার সঙ্গে সুব্রত সরকারের সম্পর্ক। এবং শাসক দলের নেতা বলে বারবার তার উপর হুমকি আসে। শান্তিপুরে একটি মহিলার সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে সুব্রত। পিঙ্কি সরকারের অভিযোগ সেই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন সুব্রত সরকার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।