সংক্ষিপ্ত

কলকাতায় মমতার সঙ্গে তাল রেখে দিল্লিকে কেন্দ্র বিরোধী প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদদের। অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাম ও কংগ্রেসদের।

 

কলকাতায় যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্না অবস্থানে বসেছেন, তেমনই তালে তাল রেখে দিল্লি তৃণমূল কংগ্রেসরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূল সাংসদদের হাতে ছিল 'গণতন্ত্র বাঁচাও' লেখা প্লাকার্ড। প্রতিবাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, জওহর সরকার, শতাব্দী রায়রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে স্লোগান দেন তৃণমূল সাংসদরা।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কণ্ঠস্তব্ধ করতে চাইছে। সেই কারণএ ব্যবহার করা হচ্ছে ইডি, সিবিআই-এর মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে। তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। সেই কারণে তাঁরা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পথে নেমেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ থেকে রাজপথ সর্বত্রই তৃণমূল আন্দোলন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে এদিন কলকাতাতেও আম্বেডকরের মুর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রে প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এজাতীয় একাধিক অভিযোগ নিয়ে পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ও আগামিকাল তিনি অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি তাঁর দলের অনুষ্ঠান। কিন্তু তিনি সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রী বিরেধী এই ধর্নামঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন।

বর্তমানে রাহুল গান্ধী ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শুরু হয়েছে। যদিও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতারা বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তারপরেই কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।

এদিন কলকাতায় বাম ও কংগ্রেসরা তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়। যদিও দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ ছিল ভিন্ন ইস্যুতে। কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল। অন্যদিকে বামেদের অভিযোগ ছিল রাজ্যের শাসকদলের নেতা কর্মীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সিপিআই(এম)এর সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী সমর্থকরা।

বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এদিন তাঁদের সমাবেশে যোগদানের জন্য কংগ্রেস সদস্যদের স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি ইস্যুতে তাঁদের সঙ্গে যেকেউ প্রতিবাদে সামিল হতে পারে। তিনি আরও বলেন উপরতলা থেকে নিচ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিটি স্তরই দুর্নীতিগ্রস্ত।