Siliguri News: রাস্তায় কাজের জন্য ঠিকাদার সংস্থার কাছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

Siliguri News: সরকারি কাজে বাধা ও ঠিকাদার সংস্থার কাছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের চটহাট অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের যুব অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে। ঠিকাদার সংস্থা টাকা না দেওয়ার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানায়।

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে চটহাট ফাটামারি থেকে হাপ্তিয়াগছ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার তিস্তা ক্যানেলের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। তিস্তা ক্যানেলের সেচ দফতরের তরফ থেকে চলছে এই কাজ। তবে চটহাট অঞ্চলের নিজবাড়ি থেকে কুচিয়া মোড় ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দু কিলোমিটার তিস্তা ক্যানেলের মেরামতের কাজ দেওয়া হয় R,Man & company-কে। কাজ শুরু করা হলে সেই সময় চটহাট অঞ্চলের যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও তার দলবল এসে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ঠিকাদার সংস্থার কাছে কাজের কমিশন টাকা চায় বলে অভিযোগ। তবে ঠিকাদার সংস্থা টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে যাবতীয় যন্ত্রাংশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করছে ওই ঠিকাদার সংস্থা।

এর পরই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয় প্রাণে মারে ফেলার। এরই প্রতিবাদে অবশেষে ফাঁসিদেওয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। চটহাট অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ও তার এক ঘনিষ্ঠর নামে। রীতিমতো কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় তিস্তার সেচ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং কি ঘটনার ঘটেছিল সেই বিষয় নিয়েও ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

অন্যদিকে এই বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।এই বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতা অনিল ঘোষ বলেন, ‘’কাটমানি ছাড়া কোন কাজ হয় না, তৃণমূলের সব নেতাদের কাজের জন্য কাঠমানি দিতে হয়।কাটমানি দেওয়ার জন্য ঠিকাদার সংস্থা নিম্নমানের কাজ করে । তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'' সমস্ত বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত জাহিরুল হক বলেন, ‘’আমি এই বিষয় নিয়ে কিছুই জানি না আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।'' 

অন্যদিকে, হুগলির কুন্তিঘাট রেয়ন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ। বদলি শ্রমিকদের ঠিকমত কাজ না দেওয়ায়।বদলি শ্রমিকদের অভিযোগ, মাসে আট দশ দিনের বেশি তাদের কাজ দেওয়া হয় না। ফলে পরিবার চালাতে সমস্যা হচ্ছে।কোম্পানীকে বলেও কোনও লাভ হয় না। অথচ রোজ হাজিরা দিতে হয়। হাজিরা না দিলে কার্ড লক করে দেওয়া হয়। তখন আর কাজই পাওয়া যায় না। যে কারণে, অন্য কোথাও কাজ করার উপায় নেই। আবার কারখানায় এসে বসে থাকলেও কাজ পাবার নিশ্চয়তা নেই।

এরই প্রতিবাদে বদলি শ্রমিকরা কারখানার স্পিনিং,অ্যাসিড প্ল্যান্ট,টেক্সটাইল সহ প্রায় সব বিভাগে কাজ বন্ধ করে দেয়। শুধু ব্রয়লার ও সিএস২ বিভাগ চালু আছে। বদলি শ্রমিকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে স্থায়ী শ্রমিকরাও কাজ করেনি।ফলে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে রেয়ন কারখানায়। 

স্থায়ী শ্রমিকদের দাবী বদলি শ্রমিকরা কাজ করলে তাদের খাটনি কমে। নাহলে তাদের উপর চাপ পরে যায়। রেয়ন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে নোটিশ দেয়। বেআইনি স্ট্রাইক করার ফলে ষার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে কোম্পানীর।তারা কারখানার স্বীকৃত পাঁচটা ইউনিয়নকে চিঠি দেয়।আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর জন্য। শ্রমিকরা যদিও তাদের নিয়মিত কাজের দাবীতে অনড়। রেয়ন কারখানায় স্থায়ী বদলি ঠিকাদার নিযুক্ত মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক আছে। অশান্তির আশঙ্কায় কারখানা গেটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।