সংক্ষিপ্ত
তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবারই কাঁথিতে জনসভা ও পদযাত্রা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরের দিনেই ওই এলাকায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে চলল তল্লাশি।
শুভেন্দু গড়ে সিবিআই হানা! ফের সিবিআই তল্লাশি রাজ্যের এক জেলায়। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবারই কাঁথিতে জনসভা ও পদযাত্রা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরের দিনেই ওই এলাকায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে চলল তল্লাশি।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় কাঁথির ৩ নং ব্লকের ভাজাচাউলির দু’জন তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেই দুই নেতার নাম নন্দদুলাল মাইতি এবং দেবব্রত পণ্ডা।
ঘটনাটি ঘটেছিল একুশ সালের ৩০ মার্চ। বিজেপি নেতা জন্মেঞ্জয় সেদিন বাড়ি ফিরছিলেন। উত্তর কাঁথির বাথুয়াড়ি এলাকার নিবাসী ছিলেন তিনি। তবে সেই সময় মশাগা সেতুর কাছে তৃণমূল নেতারা জন্মেঞ্জয়কে মারধর করে বাইকে করে তুলে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। এরপর ভাউচাউলি এলাকার কাদুয়া থেকে বিজেপি নেতার রক্ত মাখা দেহ উদ্ধার হয়।
প্রয়াত জন্মেঞ্জয় একদা সিপিএমের অংশ ছিলেন। সেই জন্য সিপিএমের তৎকালীন মারিশদার জোনাল সম্পাদন কালীপদ শিট তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কালীপদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ৬ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ৩ মাস পর জামিনে ছাড়া পান তাঁরা।
এরপরেই প্রয়াত জন্মেঞ্জয়ের বাড়ির লোকেরা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলতে থাকেন। এরপর আদালত কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তদন্তভার তুলে দেয়। একুশ সালের ২১ ডিসেম্বর মাসে সিবিআই সেই দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকে তৃণমূলের নেতাদের বহুবার নোটিশ পাঠানো হয়।
জন্মেঞ্জয় দলুইকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল নন্দদুলাল মাইতিদের বিরুদ্ধে। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তালিকায় নন্দদুলালের নাম নেই। তাঁর ছেলে বুদ্ধদেবের নাম রয়েছে। তবে এদিন বুদ্ধদেবকে না পেয়ে নন্দদুলালকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। তবে তাঁদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
অন্যদিকে তৃণমূলের আর এক নেতা দেবব্রতকেও পায়নি সিবিআই। তাঁকে না পেয়ে মেয়েকে জেরা করেন বলে খবর। অন্যদিকে সিবিআই হানা দিয়ে একথা জানতে পারার পর কেন্দ্রীয় এজেন্সির তালিকায় পয়লা নম্বরে নাম থাকা কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশচন্দ্র বেজ গা ঢাকা দিয়ে দেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।