সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজিরা দেওয়ার কথা সায়নীর। প্রশ্নমালা তৈরি করে প্রস্তুত আধিকারিকরা। তবে সায়নীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে। বেলা ১১ টা নাগাদ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও বেপাত্তা সায়নী ঘোষ। তাই প্রশ্ন উঠেছে আজ আদেও তিনি ইডির অফিসে হাজিরা দেবেন কিনা। অন্যদিকে সায়নীকে জিজ্ঞাবাদের জন্য রীতিমত প্রশ্নপত্র সাজিয়ে তৈরি রয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরেই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
যাইহোক পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সায়নী ঘোষ। কিন্তু বুধবার থেকে তাঁকে আর নির্বাচনী প্রচারে দেখা যানি। ওই দিন বর্ধমানের জামালপুরে সায়নী প্রচার করার কথা ছিল। কিন্তু বুধবারে পর বৃহস্পতিবারও নির্বাচনী প্রচারে গরহাজির ছিলেন সায়নী। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও তেমন কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, রথযাত্রার কারণে সায়নী উপবাসে থাকতে পারেন, আর সেই কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তবে কোনও কিছুই নিশ্চিত করে বললেন তিনি। অন্যদিকে সায়নীর সঙ্গেও বুধবার থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তৃণমূল বুধ ও বৃহস্পতিবার তাঁর প্রচার বাতিল করলেও সরাসরি কোনও কারণ জানায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও একাধিকবার চেষ্টা করে নাকি সায়নী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি কোথায়। তাই নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে দলের অন্দরে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদেও তিনি ইডির অফিসে হাজিরা দেবেন কিনা।
সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৈরি ইডি। সূত্রের খবর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার অধিকারিকের একটি দলও তৈরি করা হয়েছে। তারা বেশ কিছু প্রশ্নও তৈরি করে রেখেছেন। মূলত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আর সম্পর্ক নিয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে সায়নীকে। ইডির হাতে কুন্তল আর সায়নী কথাবার্তা কিছু চ্যাট হাতে রয়েছে। তারই সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। অন্যদিকে সায়নীতে তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসের ডিটেল সহ একাধিক নথিপত্র নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের বেশি কিছু পরিমাণ টাকা গিয়েছিল সায়নীর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে। সূত্র ছিল কুন্তল।
তবে সায়নীর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের নীরবতা সবকিছুই ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। কারণ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শিকড়ের সন্ধানে যথেষ্ট তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে হেনস্থা করতেই দলের নেতা নেত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান হচ্ছে।