সংক্ষিপ্ত
জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর উপস্থিতিতেই হাওড়া থেকে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের উদ্বোধন হতে পারে বলে চলছে অলোচনা।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ছুটবে বিখ্যাত ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস। আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর থেকে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। ওইদিন জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর উপস্থিতিতেই হাওড়া থেকে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের উদ্বোধন হতে পারে বলে চলছে অলোচনা।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিনেই হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। লিলুয়ার শর্টিং ইয়ার্ডে রাখা হয় সেটি। তড়িঘড়ি পৌঁছে গিয়েছেন ট্রেনের টেকনিক্যাল স্টাফ ও মোটরম্যানও। রবিবার দুপুরেই হাওড়ার ডিআরএম মণীশ জৈন-সহ পূর্ব রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ট্রেনটি পরিদর্শন করতে যান শর্টিং ইয়ার্ডে। ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। এই ট্রেনের পথ চলা শুরুর আগে অত্যন্ত কড়া নজর দিয়ে সেটির পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। ট্রায়াল রানের সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। নীল-সাদা রঙের অত্যাধুনিক দ্রুত গতি সম্পন্ন এই ট্রেন সপ্তাহে ছয় দিন হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত যাওয়া-আসা করবে।
পশ্চিমবঙ্গে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চালানো হবে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। এই ট্রেনের পথ চলা শুরু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগ আরও দ্রুততর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পাহাড়মুখী পর্যটকদের জন্য সারা বছর ধরেই এই ট্রেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে বলে রেল কর্তৃপক্ষের মত। হাওড়া স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে। নিউ ফরাক্কা ও মালদহ টাউন রেল স্টেশনে এটি দাঁড়াবে। এরপর একেবারে গন্তব্য স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি জংশন বা এনজেপি গিয়ে পৌঁছবে।
সাধারণত, বাকি সমস্ত ট্রেনগুলিতে সফর করলে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা। বন্দে ভারতে চড়ে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে নিউ জলপাইগুড়ি। অর্থাৎ, অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে যাত্রীদের নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছে দেবে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে ১০ জন মোটরম্যানকে। গাজিয়াবাদে আয়োজিত হয়েছে সেই বিশেষ প্রশিক্ষণপর্ব। এই ১০ জন মোটরম্যানও বড়দিনের দিন পৌঁছে গিয়েছেন হাওড়ায়। অন্যদিকে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন ২৫ জন ট্রেন এক্সামিনার। এই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা শেডও তৈরি করেছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-
নারীদের ইচ্ছেমতো পোশাক পরিধানে বাধা, আফগানিস্তানে কাজে যাওয়াও বন্ধ করে দিল তালিবান
‘নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান’, বাঙালির বড়দিনের আলোয় ভাইরাল হল পার্ক স্ট্রিটের সান্তা-জুটির নাচ