সংক্ষিপ্ত

সামান্য বচসা থেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল হুগলিতে (Hooghly)। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির অন্তর্গত পান্ডুয়ার দ্বারবাসিনী এলাকায়।

সামান্য বচসা থেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল হুগলিতে (Hooghly)। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির অন্তর্গত পান্ডুয়ার দ্বারবাসিনী এলাকায়।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই খুন ঘিরে শুরু হয়েছে তদন্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহতের নাম হল আশিস বাউল দাস। তাঁর বয়স ২৬ বছর। ওই যুবক থাকতেন দ্বারবাসিনীর গরুইগেঁড়ে গ্রামে।

জানা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি মেলা দেখে মোটরবাইকে চেপে ফিরছিলেন আশিস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধুরাও। আশিসের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গমুকপাটি এলাকায় মনসা পুজো চলছিল সেদিন। সেখানেই লাউডস্পিকারে গান বাজানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, তাঁর বাইকের সামনে পড়েন এক গ্রামবাসী।

যদিও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু বচসার। অভিযোগ আসছে, এরপর আশিসকে বাইক থেকে জামার কলার ধরে টেনে নামানো হয়। তারপর শুরু হয় মারধর। রাস্তায় ফেলে তাঁর বুকে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ সামনে আসছে।

সঙ্গে থাকা আশিসের বন্ধু তাঁকে সেখান থেকে কোনওরকমে ছাড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু রাত থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ওই যুবক। পরদিন সকালে বাবা বিকাশ দাসকে ঘটনার কথা জানান আশিস। সেই সঙ্গে নিজের শারীরিক অসুবিধার কথাও জানান তিনি।

পরদিন ওই গ্রামে যান তাঁর বাবা। কিন্তু বিকাশবাবুর ওপরেও কয়েকজন গ্রামবাসী চড়াও হন বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে আরও অসুস্থ হতে শুরু করেন আশিস। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত থেকে রক্তবমি শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পান্ডুয়া হাসপাতালে।

পরে সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আশিসকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই সঙ্কটজনক হওয়ার ফলে, আশিসকে আইসিইউ-তে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

কিন্তু, ওই হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে গেলে অনেকটা সময় লাগত। তাই আশিসকে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারপর কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওযার পথেই মৃত্যু হয় ঐ যুবকের।

রবিবার তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, পিটিয়ে খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।