কোচবিহারের মাথাভাঙায় যখন প্রতিবাদ চলছিল সে সময় হামলা চলে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বুধবার রাজ্য জড়ে হয়েছিল রাত দখল কর্মসূচী। আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বেলে হয়েছিল প্রতিবাদ। তেমনই রাস্তায় রাস্তায় মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ মিছিলে হাজির হয়েছিলেন শয় শয় মানুষ। বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় এই প্রতিবাদের সময় ঘটল হামলার ঘটনা।

কোচবিহারের মাথাভাঙায় যখন প্রতিবাদ চলছিল সে সময় হামলা চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার শহরে চৌপতিতে গণতান্ত্রিক লেখক সংগঠন ও ভারতীয় গণনাট্য সংঘের উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়। সেখানেই ঘটেছিল এই ঘটনা।

বুধবার রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদের প্রতীকী ছবি আঁকা হচ্ছিল। চলছিল অভিযোগ কর্মসূচী। এই সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদীদের কথা কাটাকাটি হয়। তা পৌঁছায় মারধর পর্যন্ত। তাদের ঘটনস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। তাদের আঁকা ছবি জল ঢেলে মুছে দেওয়া হয়।

এই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে, তাদের দাহি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, মাথাভাঙার ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয় জানা নেই। শুনেছি একটা গণ্ডগোল হয়েছে। কারা এর পিছনে আছে তা খোঁজ নিচ্ছি। দল এ সব বিষয়কে অনুমোদন করে না।

তেমনই একজন আয়োজককারী বলেন, গণসংগঠনের তরফে আমরা আরজি করের প্রতিবাদে কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। গান-বাজনা-আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হচ্ছি। বহু বিশিষ্ট নাগরিক প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। কোনও রাজনৈতিক ঝান্ডা ছিল না। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের নেতৃত্বে আমাদের কিছু সদস্যের ওপর হামলা করা হয়। যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। 

মাথাভাঙার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আরজি করে যা ঘটেছে তার প্রতিবাদে আমরাও মিছিল করেছি। আমরাও দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। ঘটনা প্রসঙ্গ শুভেন্দু অধিকারী এক বিশেষ পোস্ট করেন। যা মুহূর্তে হল ভাইরাল।

Scroll to load tweet…