সংক্ষিপ্ত
এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো বিএসএফ অফিসার। তবে শুধু বিএসএফ অফিসার নয়, নানা ছদ্মবেশে দেখা যেত তাঁকে। শেষপর্যন্ত, পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই মহান ব্যাক্তিটি।
এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো বিএসএফ অফিসার। তবে শুধু বিএসএফ অফিসার নয়, নানা ছদ্মবেশে দেখা যেত তাঁকে। কখনও কপালে তিলক কেটে নিয়ে খোল বাজিয়ে নাম সংকীর্তনও করতেন তিনি। আবার কখনও বিএসএফ অফিসার সেজে লোকের কাছ থেকে টাকা এবং মোবাইল হাতিয়ে চম্পট দিতেন। শেষপর্যন্ত, পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই মহান ব্যাক্তিটি।
কখনও কলকাতা থেকে কালনা, আবার কখনও হাওড়া থেকে নবদ্বীপ, এইভাবে প্রতারণার কারবার চালাচ্ছিলেন এক যুবক। তাঁর প্রতারণার শিকারও হয়েছেন অনেকে। এমনই এক অভিযোগের ভিত্তিতে, ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই ভুয়ো বিএসএফ অফিসারকে গ্রেপ্তার করে কালনা জিআরপি।
ধৃতের নাম হল প্রসেনজিৎ দুবে। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার মেজিয়ায়। বুধবার, ধৃতকে কালনা আদালতে তোলার পর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানানোর পর বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
জিআরপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়ার মেজিয়া এলাকার বাসিন্দা হলেন এই প্রসেনজিৎ দুবে। তাঁর বয়স ৩৪ বছর। এই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকটি চুরির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, মেজিয়া থানার পুলিশ তাঁকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু চুরিকেই নিজের পেশা করে নেয় সে। এরপর অভিনব কায়দায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে থাকে।
জানা যাচ্ছে, বিএসএফের পোশাক পরে প্রসেনজিৎ নিজেকে কৃষ্ণনগরের ১১৮ নং ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ ট্র্যাফিক অফিসার বলে পরিচয় দিত। তারপর বিভিন্ন স্টেশনে ওই সব পরিবারের লোকজনকে নিজের কাছে টাকা নেই এবং জিনিসপত্র হারিয়ে গেছে বলে সহানূভূতি আদায় করত। তাদের কাছ থেকে হাজার-হাজার টাকা ধার নিত।
এছাড়াও তাঁর মোবাইল খারাপ হয়ে গেছে বলে, তাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ফোন করতে করতে হটাৎ করে উধাও হয়ে যেত। এইসব অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে জিআরপি ওই ভুয়ো বিএসএফ অফিসারকে হাতেনাতে ধরে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।