সংক্ষিপ্ত

সোমবার মুখ্যসচির এইচকে দ্বিবেদী বলেছেন, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

 

রাজ্যের সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় ক্রমাগত প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণে রাজ্যের সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার মুখ্যসচির এইচকে দ্বিবেদী বলেছেন, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তিনি জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি তাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত নিচু ও বন্যা প্রবণ স্থানগুলি চিহ্নি করতে। বাঁধের অবস্থাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দ্রুত এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পরামর্শ দিয়েছেন জেলার উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষকে।

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ভারতের আবহাওয়া দফতর আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। নিম্নচাপ এলাকা রয়েছে ঝাড়খণ্ডের ওপর। প্রবল বৃষ্টির কারণে বাঁধগুলিতে জলের চাপ বাড়বে। জল ছাড়ার পরিমাণও বাড়তে পারে প্রতিবেশী রাজ্য। ১ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবারই ঝাড়খণ্ডের একাধিক এলাকায় ৫০ মিলিমিটারও বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

তাই আগেভাগেই জেলা প্রশ্নয়ও পুলিশ কর্তাদের নিম্নবর্তী ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধের সুরক্ষার ওপর জোর দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে বালির বস্তা ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ব পর্যাপ্ত ত্রান, ত্রিপল, জল ও শুকনো খাবার মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

নবান্ন একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'কোনও অঞ্চলে অস্বাভাবিকভাবে বেশি বৃষ্টিপাত হলে নবান্ন (রাজ্য সচিবালয়) জেলা প্রশাসনকে জানাতে কারণ জল ছাড়ার ক্ষেত্রে নিম্নাঞ্চলের বৃষ্টিপাতকেও বিবেচনা করতে হবে।'সেচ ও জলপথ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিক এবং এডিজি (আইন ও শৃঙ্খলা) উপস্থিত ছিলেন। সেচ ও নৌপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হবে।প্রয়োজনে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থাসহ ওইসব এলাকায় মাইকিং করা হবে।সেচ ও জলপথ বিভাগ DVC এবং ঝাড়খণ্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে।