সংক্ষিপ্ত
মানিক-পুত্র সৌভিককেও মানিকের মতোই রাখা হচ্ছে প্রেসিডেন্সি জেলে। বিধায়কের স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলিপুর সংশোধনাগারে।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্য এবং স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে বারো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত জেলেই বন্দি থাকবেন দু’জন। দুর্নীতিকাণ্ডে মানিকের গ্রেফতারির পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দিয়েছিল, তাতে তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের নাম ছিল। বুধবার ইডির বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন সৌভিক এবং শতরূপা। আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন দু’জনেই। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
যদিও মানিকের স্ত্রী, পুত্রের আইনজীবী বলেছিলেন, সমনের ভিত্তিতে তাঁরা নিজে থেকেই হাজিরা দিয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসতে হয়নি। ইডির তদন্তেও তাঁরা সহযোগিতা করেছেন। জামিনের জন্য যে কোনও শর্ত তাঁরা মানতে রাজি আছেন বলেও আদালতে জানান আইনজীবী। কিন্তু শতরূপা এবং সৌভিকের জামিনের বিরোধিতা ক’রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, মানিকের কীর্তির কথা আগাগোড়া জানতেন তাঁর স্ত্রী। দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা থাকতে পারে। এ ছাড়া, এক মৃত ব্যক্তি মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিকের স্ত্রীয়ের ব্যাঙ্কের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে, তাতে দুর্নীতির টাকা থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
আরেকদিকে, মানিকপুত্র সৌভিকের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সৌভিক বিএড কলেজের সংস্কারের নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। একটি কোম্পানিও নথিভুক্ত ছিল মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে। সেই খাতে পাওয়া গেছে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। সেই টাকাও দুর্নীতি করেই মিলেছে বলেই দাবি করেছে ইডি। এ ছাড়াও ইডি জানিয়েছে, সৌভিক পড়াশোনার কথা বলে বহু বছর ধরে ইংল্যান্ডে গিয়ে থাকতেন। রেসিডেন্স ভিসা নিয়েছিলেন । যে কথা জিজ্ঞাসাবাদের সময় সম্পূর্ণ লুকিয়ে গিয়েছেন তিনি। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ের জন্যই তিনি গিয়েছিলেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ইডি-র অভিযোগ, ইংল্যান্ডে সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে মানিকের পরিবার।
তবে, স্ত্রী পুত্র ছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন মানিকের কন্যা স্বাতী ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী দত্তাত্রেয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমনকি, স্বাতীর শ্বশুর দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আপাতত, মানিক-পুত্র সৌভিককেও মানিকের মতোই রাখা হচ্ছে প্রেসিডেন্সি জেলে। বিধায়কের স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলিপুর সংশোধনাগারে, যেখানে বন্দি রয়েছেন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-
‘সব অশিক্ষিত, বুড়ো বয়সে ভারসাম্যহীন’ বিশ্বভারতীর আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের এভাবেই কটাক্ষ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর
বেঙ্গালুরুতে জি ২০-র প্রথম অর্থ সংক্রান্ত বৈঠক, ভারতের হয়ে উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর
বিবাহলগ্ন পেরিয়েও চমক লাগাচ্ছেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা, ইন্সটাগ্রামে মাখো-মাখো দাম্পত্যের ছবি দেখে ‘ঈর্ষান্বিত’ জ়োম্যাটো