সংক্ষিপ্ত

ইডি আধিকারিকের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের তলব করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 

শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে আঞ্চলিক তৃণমূল নেতার বাড়িতে তদন্ত করতে যাচ্ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। মাঝপথেই তাঁদের ওপর হামলা করে অজানা দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবারই তিনি তলব করেছিলেন রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের। কিন্তু, এদিন রাত হয়ে গেলেও রাজ ভবনের তাঁদের কোনও উপস্থিতি চোখে পড়ল না। 

-

ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপরে হামলার ঘটনায় ব্যাপকভাবে আহত হন অনেকে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ‘একটি সভ্য এবং গণতন্ত্রিক সরকারের কর্তব্য হল, বর্বরতা এবং অশান্তি বন্ধ করা’, এই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেই তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব , রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্য প্রশাসনের তিনজন শীর্ষ কর্তাকে। 

-

প্রশাসনিক কর্তারা কেউই এদিন বোসের ডাকে সাড়া দেননি। এমনকি মোবাইল বার্তারও কোনও জবাব দেননি বলে জানা গেছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে যে, রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং ডিজি রাজীব কুমারও সন্দেশখালির আক্রমণের ঘটনা সম্পর্কে কোনও কথা বলতে চাননি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও এই ঘটনার বিষয়ে যে নীরবতা বজায় রাখা হয়েছে, তা একেবারেই কাম্য নয় বলে মনে করছেন অনেকে। 


আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।