সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই কারণে এদিন তাঁর এজলাসেই হয় ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি এখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার আদালতে। প্রথম শুনানিতেই রীতিমত কড়া অমৃতা সিনহা। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলে দিলেন টেটের ৪২ হাজার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৪২ হাজার চাকরির নিয়োগ প্যানেলের দেখতে চেয়েছেন। এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দেওয়া বিশেষ নির্দেশে বিচারপতি বলেছেন, নিয়োগের প্যানেল ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৩০ জুলাই।
কলকাতা হাইকোর্টের পরিবর্তিত রোস্টার অনুযায়ী এবার থেকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই কারণে এদিন তাঁর এজলাসেই হয় ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা। সেখানেই ৪২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অমৃতা সিনহা।
এদিন আদালতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, 'ওই ৪২ হাজার নিয়োগের তালিকা কোথায়? কারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন?' জবাবে মামলাকারীর যুক্ত শোনার পরেই তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, 'প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে হেলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার। কারা যোগ্য , কারা চাকরি পেলেন তা প্যানেল থেকেই জানা সম্ভব।' তাকপরই নিয়োগের প্যানেল দেখতে চান বিচারপতি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলই আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালে। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোমনাথসেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।