সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন এটি মমতার পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

 

রাজ্যের সাম্প্রতীর হিংসার ঘটনাগুলির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাবি করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। পাশাপাশি হিংসার ঘটনার তদন্তভার এনআইএ বা জাতীয় তদন্ত সংস্থার হাতে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির নেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় রাম নবমীর শোভযাত্রায় হামলার অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। এদিন তাঁরই সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরও দুই বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও খগন মুর্মু।

লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাম নবমীর পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা। পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মুসলিম ভোটকে একত্রিত করতে ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের খুশি করার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

হুগলির সাংসদ লকেট এদিন বলেছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুষ্ঠীর রাজনীতি করছে। তাঁর এই রাজনৈতির কারণে এই রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছে। যদিও রাম নবমীর মিছিলে হামলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বিজেপি ও রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ইচ্ছেকৃতভাবে রাজ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা পুরনো কাশ্মীরের মতই। যেখানে হিন্দুরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিজেপি নেতা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা মিথ্য কথা বলেছেন। তাঁরা চাল কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পরিস্থিতি বিষদে দেখুক। পাশাপাশি রাজ্যের হিংসার ঘটনা নিয়ে বিজেপি এনআইএ তদন্তের দাবি করছে বলেও জানিয়েছেন। লকেট বলেন, বিজেপি চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন।

রাম নবমির মিছিলকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুরে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর গত কাল অর্থাৎ রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া। দুটি জায়গাতেই মিছিলের ওপর পাথর ছোঁড়়া হয়েছিল বলে অভিযোগ মিছিলকারীদের। কিন্তু মমতার প্রশাসন এই দাবি মানতে নারাজ। হাওড়ার ক্ষেত্রে পুলিশ জানিয়েছিল মিছিল নির্ধিরিত রাস্তা দিয়ে যায়নি। যদিও রিষড়ায় পুলিশ জানিয়েছে মিছিল শান্তপূর্ণ ছিল। আচমকাই মিছিল হামলা চালান হয়। এই ঘটনায় স্থায়ী বিধায়ক-সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি মিছিল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই মিথিল পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ স্থানীয় মসজিদ থেকেই হামলা চালান হয়েছিল। যাইহোক দুটি ঘটনাকে নিয়েই উত্তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। দুটি বিষয়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি রাজভবনই হাওড়া ও হুগলির পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেও জানিয়েছে।