সংক্ষিপ্ত
ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলিং শুরু করে পুরভোটে বিজেপির হয়ে টিকিট পাওয়া হেভিওয়েট নেতা।
পুরভোটে পদ্ম শিবিরের হয়ে ভোট লড়েছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা । জয়ী হতে না পারলেও দলের হয়ে ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তারপরেই এলাকার বিজেপি নেত্রীকে উঁচু পদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দিনের পর দিন করতে থাকেন ধর্ষণ। এতেও তাঁর জুলুমবাজি থেমে থাকেনি। ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই বিজেপি নেত্রীকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেলও করতে থাকেন তিনি। বাঁচার কোনও পথ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বিবাহিত তরুণী নিয়ে ফেললেন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত!
-
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলার সোনামুখীতে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম তরুণ সামন্ত। তিনি বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানার মজুরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। বাঁকুড়া জেলার মহিলা মোর্চায় উঁচু পদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিবাহিত মহিলাকে বিষ্ণুপুরে নিয়ে গিয়ে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, সেই মহিলাও একই দলের নেত্রী।
-
ভয় পেয়ে প্রথম থেকে এই বিষয়টি নিয়ে চুপ করে থাকলেও নির্যাতিতা পরে নিজের স্বামীর কাছে এই বিষয়টি প্রকাশ করেন। ২৩ অক্টোবর তিনি সোনামুখী থানায় তরুণ সামন্তের বিরুদ্ধে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, পুলিশ তরুণ সামন্তকে কিছুতেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই বিজেপি নেত্রী। নির্যাতিতা র স্বামীর অভিযোগ, “পুরভোটে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য তরুণ সামন্তের সঙ্গে আমার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। সেই ঘনিষ্ঠতার জেরে পরে দলের একাধিক বৈঠকে আমার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যেত তরুণ। স্ত্রীকে দলের মহিলা মোর্চার উচ্চপদের লোভ দেখিয়ে বিষ্ণুপুরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল। পরে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলিং শুরু করে। এর পর আরও কয়েকবার আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছিল। পরবর্তী সময়ে স্ত্রী আমাকে বিষয়টি জানালে পুলিশের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনওভাবেই তরুণ সামন্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।