সংক্ষিপ্ত

কখনও কখনও ওই বাড়িতে কিছু মহিলার আনাগোনা লক্ষ্য করা যেত। তাঁরা কী করতেন সেখানে, কেউই জানে না। আবার কেউ বলছেন, ওই বাড়িতে আসা মহিলারা সেলাই-এর কাজ করতেন।

রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আপাতত ইডির কড়া হেফাজতে। এরই মধ্যে ইডির হাতে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের মণ্ডলপাড়ায় বিরাট বাড়ি রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। বাড়ি বা জমির মালিকানা কোনোটাই মন্ত্রীর নামে না থাকলেও, এলাকার সকলের কথায় এটা তাঁরই বাড়ি। ২০১১ সালে ওই জমি কিনে বাড়ি তৈরী করেন জ্যোতিপ্রিয়। ২৭ কাঠা এলাকার বাড়ির চারপাশে ১২ থেকে ১৪ ফুটের পাঁচিল। ভেতরে বিরাট সাদা রঙের বাড়ি।

প্রতিবেশীদের কথায়, কখনও কখনও ওই বাড়িতে কিছু মহিলার আনাগোনা লক্ষ্য করা যেত। তাঁরা কী করতেন সেখানে, কেউই জানে না। আবার কেউ বলছেন, ওই বাড়িতে আসা মহিলারা সেলাই-এর কাজ করতেন। সূত্রের খবর, বৃদ্ধাশ্রম বা অনাথ আশ্রম বানানোর কথা ছিল ওই জমিতে। যদিও কোনোটাই হয়নি। ওই বাড়িতে ঠিক কী চলত তা কারোরই জানা নেই।

ইডি সূত্রে খবর, শুধু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নয়, নামে বা বেনামে ঠিক কোথায়, কত সম্পত্তি আছে সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। এখনও পর্যন্ত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডির হাতে এসেছে। এছাড়াও মন্ত্রীর প্রচুর বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

বিরাট ওই বাড়িতে কে থাকেন, কী চলে সেই নিয়ে আশেপাশের বাসিন্দারা কেউই অবশ্য মুখ খুলতে চান না। সূত্রের খবর অভিষেক বিশ্বাস স্মৃতিকণা বিশ্বাসের নামে রয়েছে ওই বাড়ির মালিকানা। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ঠিক এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। যদিও তাঁকে তারা হেফাজতে পেয়েছেন মঙ্গলবার রাত থেকে। সেখানে গত ৪৮ ঘণ্টায় বাড়ির খাবারই খেয়েছেন মন্ত্রী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।