সংক্ষিপ্ত

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেও সিপিএমের টিকিটে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন দীপ্সিতা। একুশের বিধানসভা ভোটে বালি থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার লড়াইটা আরও বেশি কঠিন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

শ্রীরামপুর লোকসভা আসনে নজর রয়েছে সবার। এই নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। কারণ তিন দলই এখানে দিয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির কবীর শঙ্কর বোসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ময়দানে নেমেছেন বামেদের নয়া প্রজন্মের অন্যতম মুখ দীপ্সিতা ধর। আগামী ২০ মে ভোট রয়েছে এই কেন্দ্রে।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেও সিপিএমের টিকিটে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন দীপ্সিতা। একুশের বিধানসভা ভোটে বালি থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার লড়াইটা আরও বেশি কঠিন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। দুঁদে রাজনীতিবিদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দিয়ে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে দীপ্সিতা জিততে পারেন কিনা সেটাই দেখার।

নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন দীপ্সিতা। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর হাতে ২০ হাজার টাকা নগদ রয়েছে। এছাড়া ভোটের খরচপাতির জন্য শ্রীরামপুরের ব্যাঙ্ক অফ বরোদা শাখায় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দিল্লির JNU ক্যাম্পাসের এসবিআই শাখার অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯১০ টাকা। অন্যদিকে হাওড়ার ঘোষপাড়ার এসবিআই শাখাতেও একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে বাম নেত্রীর। সেই ব্যাঙ্কে ১৮ হাজার ১৭৯ টাকা রয়েছে।

সব কিছু মিলিয়ে, শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৯ টাকা। বাম যুব নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই।

সদ্য জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্বন্ধেও বিশদে উল্লেখ করেছেন শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী। দীপ্সিতা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পাশের পর ২০১৫ সালে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০১৯ সালে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলোজফিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি।

চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।