সংক্ষিপ্ত

এই প্রতিবেদনে জেনে নিন রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে কোন দলের প্রার্থী জিতবেন। বিশেষ করে রাজ্যের হটসিটগুলিতে নজর কাড়ছেন প্রার্থীরা। তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণের ওপর চোখ রয়েছে সকলের।

সামনের ১৯শে এপ্রিল মহারণ। শেষ হাসি হাসবে কে! তা জানতে জনমত সমীক্ষায় চোখ রাখছেন সকলেই গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এবিপি আনন্দ-সি ভোটার যৌথভাবে সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষাতে যে ফলাফল উঠে এসেছে তা থেকে মোটামুটি ভাবে আন্দাজ করা যেতে পারে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোন কোন প্রার্থী শেষ হাসি হাসবেন।

এই প্রতিবেদনে জেনে নিন রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে কোন দলের প্রার্থী জিতবেন। বিশেষ করে রাজ্যের হটসিটগুলিতে নজর কাড়ছেন প্রার্থীরা। তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণের ওপর চোখ রয়েছে সকলের। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে লোকসভা কেন্দ্রে এখন মোদী-শাহের কাছে আলাদা নজর হয়ে রয়েছে সেই লোকসভা কেন্দ্র অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বালুরঘাটে কিন্তু চাপে পড়তে পারেন সুকান্ত মজুমদার। তিন শতাংশ সুইং ভোট তার ভাগ্য উলটপালট করে দিতে পারে। মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ফের একবার জয়ের মুখ দেখতে পারেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এখানে হেরে যেতে পারেন ইউসুফ পাঠান থেকে শুরু করে বিজেপির নির্মল সাহা।

জলপাইগুড়িতে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়, দার্জিলিঙে জিততে পারেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। গোর্খাদের দাবি দেওয়া এবং বিজেপি বিধায়ক কাটা হিসাবে থাকলেও এখানে গত তিনবারের মতো বিজেপিই বিজেপিই জয়লাভ করতে পারে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রায়গঞ্জে জয়লাভ করতে পারেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল।

বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির অসীম সরকার হারের মুখ দেখতে পারেন এবং এখানে জয়লাভ করতে পারেন তৃণমূলের শর্মিলা সরকার। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ এগিয়ে থাকলেও তিনি মোটেও স্বস্তিতে নেই। অনুব্রতহীন বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়লাভ করতে পারেন তৃণমূল প্রার্থীরা। সন্দেশখালির ঘটনার পর বসিরহাটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এগিয়ে থাকলেও যেকোনো সময় পাশা পাল্টে দিতে পারেন রেখা পাত্র। ডায়মন্ড হারবারে জিততে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতায় জিততে পারেন তৃণমূলের মালা রায়।

দমদম লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে পারেন সৌগত রায়, মথুরাপুর থেকে জয়লাভ করতে পারেন তৃণমূলের বাপি হালদার, হাওড়ায় জিততে পারেন তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরে জিততে পারেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তমলুকে জিততে পারেন বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চাপে ফেলতে পারে তৃণমূলের অন্যতম প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে। আপাতত তিনি এগিয়ে থাকলেও এক শতাংশ সুইং ভোট তার ভাগ্য বদলে দিতে পারে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সেলিব্রিটি প্রার্থী জুন মালিয়া হারের মুখ দেখতে পারেন এবং জিততে পারেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল। পুরুলিয়ায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আপাতত এগিয়ে থাকলেও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে বেগ দিতে পারে মাত্র এক শতাংশ ভোট।

এদিকে এবার অন্যতম হটসিট হুগলি কেন্দ্রে যুযুধান দুই পক্ষ হলেন একদা সহকর্মী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত বিজেপির লকেট চ্যাটার্জি এগিয়ে থাকলেও যেকোনো মুহূর্তে পাশা বদলে যেতে পারে বলেই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।