Crime News: প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রী সহ সাতজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Hooghly News: হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের পোলবা থানার এলাকায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুনের দায়ে স্ত্রী, প্রেমিক সহ সাতজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিল চুঁচুড়া আদালত।
১৩ বছর আগে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ভাড়াটে খুনিদের কাজে লাগিয়ে স্বামী কৃষ্ণচন্দ্র মাল (৪৩)কে নৃসংশ ভাবে খুনের ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সহ সাতজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিল চুঁচুড়া আদালত। সেই সঙ্গে আসামীদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ধার্য করে। চুঁচুড়া আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় সাতজনকেই যাবজ্জীবন সাজা দেন।
সাজা প্রাপ্ত আসামীরা হল মৃতের স্ত্রী রীনা মাল, প্রেমিক জিকো পাল, দীপঙ্কর পাল, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, লক্ষীকান্ত চক্রবর্তী, অভিজিৎ চক্রবর্তী, রাজা দাস। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পোলবা থানার তৎকালীন ওসি অতীশ দাস খুন ও ডাকাতির কিনারা করেন। তারপর থেকে আসামীরা জেলেই ছিল। এ দিন আদালতের রায় ঘোষণার পরেই আদালত চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ২০১২ সালে পোলবা থানার পাটনা গ্রামে কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্র মালকে গলা কেটে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। পুলিশ যখন খবর পেয়ে তদন্তে যায় কৃষ্ণা মালের স্ত্রী রীনা মাল পুলিশকে জানান,বাড়িতে ডাকাত পরেছিল। তাকে আর ছেলেকে হাত বেঁধে তার স্বামীকে খুন করে গহনা টাকা লুট করে ডাকাত দল। দুষ্কৃতীরা তাকে ধর্ষন করে বলেও সে সময় অভিযোগ করেছিলেন।
পোলবা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে রীনা মালের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ভালো ছিল না বলে জানতে পারে। তাদের এক ছেলে থাকা স্বত্বেও বলাগড়ের জিকো পাল নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে স্বামী কে খুন করায়। ঘটনার পরেই পুলিশ সাত জন কে গ্রেপ্তার করে। চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায় চৌধুরী বলেন,এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষি দেয়। মৃতের ছেলে মায়ের বিরুদ্ধে বয়ান দেয়।
এ দিন হুগলির পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) কামনাশিস সেন বলেন, পুলিশ,আইন, আদালত সবাই দারুন কাজ করেছে বলেই হত্যাকারীদের কঠোর সাজা হয়েছে।সবাই কে বলব আইনের উপর ভরসা রাখতে।জেলায় পর পর সাজা হওয়ার ঘটনা কিন্তু ন্যায় বিচার কে মজবুত করেছে। গতকাল হুগলির গোঘাটের একটি মার্ডার কেসে ১৮ জন দোষী ব্যক্তির যাবজ্জীবন সাজা এবং অপর একজনের ফাঁসির আদেশ হয়।
গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ)প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন,নৃশংস ঘটনা।মিথ্যে অভিযোগ করে মূল ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিল আসামীরা। কিন্তু আইনের কাছে তাদের পরাজয় ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডে পোলবা থানা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জেলা পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল তিন দিনের মধ্যে এই কেসের আসল সত্য রহস্য উদঘাটন করেন। এবং তদন্ত শেষ করে কোর্টে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেন। বিচার চলাকালীন আসামিরা সকলেই জেলে ছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


