সংক্ষিপ্ত
ভিডিওতে, হাতিটিকে বিন্নাগুড়ি আর্মি হাসপাতালের করিডোরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এবং তারপরে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে কোন মানুষ ডাক্তারের চেম্বারে নক করবে, কাকে দেখাতে যাবে?
প্রায় ১৪০ কোটির দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা ১৮ লক্ষ। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পরেও দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবার নূন্যতম সুবিধা পৌঁছনো যায়নি। সেখানে প্রাণীদের চিকিৎসা পরিষেবার হাল যে কহতব্য হবে না, তা বলাই বাহুল্য। তাই মানুষের ওপর ভরসা না করে থেকে এবার নিজেই চিকিৎসার সন্ধানে বের হল হাতিরা। ঘুরে ঘুরে দেখল কোন চিকিৎসকের কাছে মিলবে সঠিক পরিষেবা, কার কাছে দেখাবে তারা।
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও, এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এমনই দেখা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির হাসপাতালের বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যম।
রবিবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি দুটি নয় বেশ কয়েকটি হাতি রীতিমতো দরজা গুঁতিয়ে এ ঘর ও ঘর করে বেড়াচ্ছে। কখনও এই ঘর, কখনও ওই ঘর। রীতিমত দরজা শুঁড় দিয়ে ঠেলে হাসপাতালের ঘরে ঢুকে পড়ছে হাতি। আবার পছন্দ না হলে বেরিয়েও আসছে। এরকম করে বেশ কয়েকটি হাতি দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াল গোটা হাসপাতাল। সেনা হাসপাতালে রীতিমত চাঞ্চল্য পড়ে যায়।
নেটিজেনরা মজা করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভিডিওতে কমেন্ট করেছেন ওরে এটা তোদের হাসপাতাল নয় রে...কিন্তু কে শোনে কার কথা! ভিডিওতে, হাতিটিকে বিন্নাগুড়ি আর্মি হাসপাতালের করিডোরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এবং তারপরে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে কোন মানুষ ডাক্তারের চেম্বারে নক করবে, কাকে দেখাতে যাবে?
ভিডিওতে হাসপাতালের কর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরপরই, হাতিটির পরিচয় সম্পর্কে অনুমান করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলেছেন যে হাতিটি একজন রোগী হতে পারে, যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছে। এছাড়াও একাংশ নেটিজেনদের ধারণা যে হাতিটি একজন পরিদর্শন কর্মকর্তা হতে পারে, যিনি সেনা হাসপাতালের পরিষেবা, পরিস্থিতি ও পরিকাঠামো ঘুরে দেখছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে গুজবও শুরু হয়েছে যে হাসপাতালের রুমে হাতি ঢুকেছে। পরে গুজবও রটে যায় যে, হাতিটি কিছু আসবাবপত্রসহ কয়েকটি ঘরের দেয়াল নষ্ট করেছে। সেনা হাসপাতালে বেশ কিছু ক্ষতিও হয়েছে। এরকম রিপোর্ট মিলেছে যে একদল হাতি বন থেকে এসে হাসপাতালের বেশ কয়েকবার ক্ষতি করেছে।