সংক্ষিপ্ত
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী বাসক বসাক। সেখান থেকেই ভোট থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বামেদের।
কলকাতা পুরভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যের আরও চার পুরনিগমে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। আগামী মাসেই শুরু হবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। এদিকে তার আগে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেমেছে শাসক-বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলই। ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর পৌর নিগমে নির্বাচন (Election on Bidhannagar Municipality) রয়েছে। তার আগেই বিধাননগর পৌর নিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী (Cpim Candidate) বাসক বসাকের সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, আইনজীবী তথা সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী বাসক বসাক। সেখান থেকেই ভোট থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বামেদের।
এদিনের এই সভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অসীম দাশগুপ্ত বলেন, "কুড়ি সালে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুবছর ফেলে রাখলেন কেন? তখনই কেউ নির্বাচন ফেলে রাখে জানবেন যখন সেই দল বা পিছনে যে সরকার আছে তারা মানুষের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে। আজ যে নির্বাচনটি হওয়া উচিত ছিল ২০২০ সালে দুবছর পরে আজকে সেই নির্বাচন হচ্ছে। আমরা মনে করি যে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচনের কথা যখন আমরা বলি তখন বামপন্থী প্রার্থীদের আপনাদের কাছে যাওয়া একটা বাড়তি অধিকার আছে। তারাই তো নির্বাচন কে গণতান্ত্রিক ভাবে করার চেষ্টা করেছিলেন এবং করবেন। " এর পাশাপাশি জল নিকাশি, রাস্তা সংস্কার, জল জমা সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন তিনি।
আরও পড়ুন-সাংবাদিককে গালিগালাজ করে বিতর্ক, চাপের মুখে ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন
আরও পড়ুন -'ওরা গডসের পূজারী', গান্ধীজির মৃত্যুদিনেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ ফিরহাদের
অন্যদিকে এদিনের সভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। তিনি বলেন, "দিদি কি করছেন তাঁর বিজ্ঞাপনে। সিঙ্গুরে সর্ষের ভান্ডার ফিরল কি ফিরল না আদৌ ভান্ডার ফিরেছে কি না তার কোনো ঠিক নেই। তারজন্যে পৌরসভা গুলো বিজ্ঞাপন করবে কেন। আজকে পৌরসভার বিজ্ঞাপনে অপ্রয়োগের ফলে এবং আর্থিক অপচয়ের ফলে ভাঁড়ার শূন্য। একটা সরকার দাঁড়িয়ে আছে ঋণের উপরে। আপনার আমার মাথায় কত টাকা ঋণের বোঝা আছে তা হিসেব করে দেখেছেন?" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতা পৌরসভার আর্থিক সঙ্কট নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চাপানউতর বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। তার মধ্যেই বামেদের এই আক্রমণ সরকারের স্নায়ুর চাপ যে বাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন- শীঘ্রই উন্নতমানের ফুটবল স্টেডিয়াম পাচ্ছে লাদাখ, খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা মোদীর