সংক্ষিপ্ত
চলতি মাসের শুরুর দিকেই প্রথমে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা ও খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তার মধ্যে থাকবে BSF, CRPF, SSB ও CISF।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Election)। ফলপ্রকাশ হবে ২ নভেম্বর। প্রথমে ঠিক ছিল ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এই উপনির্বাচন সম্পন্ন হবে। তবে আগেই বলা হয়েছিল প্রয়োজনে আরও বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। আর তা দেখতে দেখতে ২৭ থেকে বেড়ে ৯২ করা হয়েছে। অর্থাৎ গোসাবা, খড়দহ, দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপনির্বাচনের জন্য ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই প্রথমে কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা (Gosaba by election) ও খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তার মধ্যে থাকবে BSF, CRPF, SSB ও CISF। এরপরই সেই বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৮০। তারপর ফের বাড়ানো হয় বাহিনীর সংখ্যা। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২। এর মধ্যে দিনহাটায় (dinhata by election) থাকবে ২৭ কোম্পানি, শান্তিপুরে (Shantipur by Election) ২২ কোম্পানি, খড়দহে ২০ কোম্পানি ও গোসাবায় ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে কমিশন।
আরও পড়ুন- অনন্য নজির, মমতার পাঠানো বিজয়ার মিষ্টি বিতরণ কংগ্রেসের গড়ে
সম্প্রতি দুই কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন (জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ) ( Jangipur and Shamsherganj) এবং ভবানীপুর (Bhabanipore) উপনির্বাচনের জন্য মোট ৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার সেখানে কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি। তার জন্য কেন এত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- চলতি সপ্তাহেই রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে বর্ষা, জানাল আবহাওয়া দফতর
একুশের বিধানসভা ভোটে দলের দুই সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। দিনহাটায় প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। আর রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে শান্তিপুরের প্রার্থী করেছিল বিজেপি। নির্বাচনে জয়ী হন তাঁরা দু'জনেই। কিন্তু, তারপরই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ৩০ অক্টোবর। আর এই দুই আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন উদয়ন গুহ ও ব্রজকিশোর গোস্বামী। শান্তিপুরে BJP-র প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস ও দিনহাটাতে লড়বেন অশোক মণ্ডল।
আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে গাড়ি, প্রাণে বাঁচতে কোনওরকমে কাঁচ ভেঙে বের হন যাত্রীরা
এছাড়া বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। কিন্তু, নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এবার এই আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী করেছে জয় সাহাকে। অন্যদিকে ভোটে জয়ী হওয়ার পর মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের। তাই গোসাবা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে ৩০ অক্টোবর। এই আসনের জন্য তৃণমূলের হয়ে লড়বেন সুব্রত মণ্ডল। আর গোসাবার বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা।
ইতিমধ্যেই এই চার কেন্দ্রের ভোট প্রচার ঘিরে বিক্ষিপ্ত গোলমালের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। দিনহাটা থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে। বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তিতে ভোট করাতে তৎপর কমিশন। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।