সংক্ষিপ্ত
শনিবার সকালে মরিয়ম ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁকে ডাকাডাকি করে ছেলে মেয়েরা। কিন্তু, মায়ের কোনও সাড়া না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যায় তারা। ডেকে আনে প্রতিবেশীদের। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরশেদ। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর প্রেমিকাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ত্রিকোণ প্রেমের (Extra Marital Affair) জেরে এক গৃহবধূকে (House Wife) শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর (Husband) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাশিপুর থানার পোলেরহাটে। মৃত গৃহবধূর নাম মরিয়ম বিবি (৩৫)। প্রায় ১৫ বছর আগে শাকশহর গ্রামের বাসিন্দা মরিয়মকে বিয়ে করেছিলেন পোলেরহাটের বাসিন্দা আরশেদ আলি মোল্লা। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান এবং এক পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, এরই মধ্যে অন্য এক মহিলার সঙ্গে আরশেদ আলির সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আর সেকথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন মরিয়ম। তা নিয়ে দু'জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। এরপর শনিবার সকালে মরিয়ম ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁকে ডাকাডাকি করে ছেলে মেয়েরা। কিন্তু, মায়ের কোনও সাড়া না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যায় তারা। ডেকে আনে প্রতিবেশীদের। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরশেদ। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর প্রেমিকাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাশিপুর থানার পুলিশ। মরিয়ম বিবিকে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই মরিয়মকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। মরিয়মের ছেলের অভিযোগ, তার বাবার অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সেই নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায় অশান্তি হত। বাবা ওই মহিলাকে নিয়ে সংসার করবে বলেই মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। পলাতক আরশেদ আলি মোল্লার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'জাতীয় ফুল পদ্মকে অবমাননা মদনের', রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করল BJP
আরও পড়ুন- বর্ধমান মেডিক্যালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আগুনে পুড়ে মৃত্যু কোভিড রোগীর
এদিকে এই ঘটনার পরই মৃত মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত খণ্ড যুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে যখন জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যরা এসে পুলিশের গাড়ি আটকে মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু পুলিশ মৃতদেহ দিতে না চাইলেই শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এই ঘটনায় মরিয়ম বিবির পরিবারের এক সদস্য জখম হয়েছেন। পাশাপাশি জখম হয়েছেন কাশিপুর থানার এক পুলিশ কর্মীও। জখমদের উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কাশিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন- কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে সম্মান, বালিগঞ্জে রাস্তার নামকরণ হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে