সংক্ষিপ্ত
- পুরুলিয়ায় উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ
- সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার দেহ
- মৃতের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
- পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের ঘটনা
পুরুলিয়ায় সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম দোলন পাল মাইতি (২১)। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বামী সন্দীপ মাইতির। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে সন্দীপের বিরুদ্ধে থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের ঘটনা।
আরও পড়ুন- চিনার পার্কে প্রায় হাঁটু জল, যার জেরে হয়রানি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার সুলতানগঞ্জ পাল পাড়ার বাসিন্দা দোলন পাল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে গোবিন্দপুরের বাসিন্দা সন্দীপ মাইতির সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন সন্দীপ। বিয়ের মাস খানেকের মধ্যেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের কো-অপারেটিভ সোসাইটির ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত হন। এরপর কর্মসূত্রে স্ত্রীকে নিয়ে বান্দোয়ান ব্লকের সরকারি আবাসনে চলে গিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত ভিড় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে, হাত ফসকে রেললাইনে পড়ে জখম যাত্রী
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রায় একমাস পর থেকেই দোলনের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে শুরু করে সন্দীপ। স্ত্রীকে মদ খাওয়ার জন্য জোর করতেন তিনি। আর না খেলেই জুটত মার। আবার কখনও স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- "ঠুনকো কাজ করে ওর কী লাভ হচ্ছে", বাজেটকে 'দিশাহীন' বলায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ পার্থর
দোলনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দোলনের অসুস্থতার খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে যান দোলনের মা-বাবা। সেখানে গিয়ে মেয়েকে সরকারি আবাসন থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁর গলায় ওড়ার ফাঁস লাগানো ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, দোলনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বান্দোয়ান থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ মানতে নারাজ সন্দীপ। তাঁর দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন দোলন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।