সংক্ষিপ্ত
প্রেমিককে ফিরে পাওয়ার জন্য নাছোড় প্রেমিকা। সোজা চলে যান প্রেমিকের বাড়িতে। আর সেখানে গিয়েই ধর্নায় বসেন তিনি। ধূপগুড়ির হরিণখাওয়া এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
দু’জনেই বিবাহিত (Married)। দু'জনেরই সংসার (Family) রয়েছে। এমনকী, প্রেমিক-প্রেমিকা (Lover) দু'জনের ঘরেই সন্তান (Child) রয়েছে। তবু দু'জনের মনই মানতে চায়নি। একে অপরের সঙ্গে সংসার পাততে চেয়েছিলেন তাঁরা। আর সেই কারণেই ঘর সংসার ছেড়ে যুগল বাসা বেঁধেছিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু, হঠাৎ একদিন দেখেন প্রমিক 'উধাও'। জানতে পারেন প্রেমিককে নাকি অপহরণ করেছেন তাঁরই বাবা। এদিকে প্রেমিককে ফিরে পাওয়ার জন্য নাছোড় প্রেমিকা। সোজা চলে যান প্রেমিকের বাড়িতে। আর সেখানে গিয়েই ধর্নায় বসেন তিনি। ধূপগুড়ির হরিণখাওয়া এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মহিলার শ্বশুরবাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে। আর তাঁর প্রেমিক রণজিৎ থাকেন পাশেই ধূপগুড়ির হরিণখাওয়ায়। বছর খানেক একসঙ্গেই ছিলেন তাঁরা। ধূপগুড়ি শহরের গার্লস হাইস্কুলের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলেন। আর ওই এলাকার কাছেই একটি জায়গাতে কাজ করতেন রণজিৎ। বেশ ভালোই চলছিল সবকিছু। কিন্তু, কয়েকদিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান রণজিৎ। এদিকে প্রেমিককে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না ওই মহিলা। রীতিমতে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
তারপরই হঠাৎ একদিন কানাঘুষো শুনতে পান যে, রণজিৎকে অপহরণ করেছে তাঁরই বাবা। ব্যস এই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ছোটেন প্রেমিকের বাড়িতে। আর রণজিতের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রণজিতের বাবা চান না যে তাঁরা একসঙ্গে থাকেন। তাই জোর করে ছেলেকে তুলে নিয়ে এসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রণজিতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে ওই মহিলার। যদিও তাঁরা দু'জনেই বিবাহিত। এবং দু'জনের দুই সন্তানও রয়েছে। তবু তাঁরা নিজেদের আটকাতে পারেননি। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও একে অপরের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপরই নিজেদের স্বামী ও স্ত্রীকে (Husband Wife) ছেড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। ধূপগুড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। আর সেই খবর রণজিতের বাড়িতে পৌঁছাতেই শুরু হয় সমস্যা।
মহিলার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রণজিতের সঙ্গে সংসার করছিলেন। কিন্তু, আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান রণজিৎ। রণজিৎকে তাঁর পরিবারের লোকেরাই তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে অভিযোগ তাঁর। সেই কারণেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন। যতক্ষণ না রণজিৎকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ ধর্না থেকে উঠবেন না বলে জানিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত রণজিৎ ও তাঁর বাবা কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি।