সংক্ষিপ্ত
- গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
- অভিযোগ জানিয়েও পুলিশের সাহায্য মেলেনি
- ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য
- বিচার পেতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন পরিবার
চাকরি প্রলোভোন দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কিছু সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ। বেহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্ত। একইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি। ঘটনাচক্রে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতার আত্মীয়। পুলিশের সাহায্য না পেয়ে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুন-তৃণমূল ধ্বংসের 'মাস্টার প্ল্যান' রেডি শুভেন্দু অধিকারীর, থাকছে একের পর এক চমক
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। জানাগেছে, এলাকার কাওয়ামারি গ্রামে বাসিন্দা ওই গৃহবধূর স্বামী স্থানীয় একটি ইটভাটার শ্রমিক। পরিবারের রুচি রোজগারের টানে স্বামীর সঙ্গে ওই ইটভাটা কাজ করেন গৃহবধূ। কাজের ফাঁকে বাদাম বিক্রি করেন বাড়তি উপার্জনের জন্য। অভিযোগ, এই অবস্থায় গৃহবধূকে চাকরির প্রলোভোন দেয় তাঁর মামা শ্বশুর মজিবুর রহমান। কাগজপত্র সই করার নাম করে তাঁকে ডেকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু জানালে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। গোটা ঘটনাটি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ সুপারের কাছে গেলেও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি নির্যাতিতার।
আরও পড়ুন-'বিশ্বভারতীর পাগল ভিসি, পাগলামি না ছাড়লে পতাকা লাগাব', বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অনুব্রত
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ নভেম্বর। চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়ে পাঠায় অভিযুক্ত মামা মজিবুর রহমান। প্রথমে তাঁর স্বামী কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে আবার ফোন করে বলে তাঁকে আরও কিছু কাগজপত্র সই করতে হবে। এই বলে গৃহবধূকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায় । সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। গৃহবধূকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের সাহায্য না মেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ।