সংক্ষিপ্ত
- সিকিমে বেড়াতে গিয়ে মৃত বাঙালি পর্যটক
- মৃত দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুরের বাসিন্দা
- জিরো পয়েন্টে গিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু
সিকিম বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল সোনারপুরের এক যুবকের। পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে সোনারপুরের ওই তরতাজা যুবকের। মৃতের নাম প্রসেনজিৎ ঘোষ (২৮)। বাড়ি সোনারপুর থানার নিশ্চিন্তপুরে।
শুক্রবার দুপুরে ইয়ুংথাম ভ্যালি ছাড়িয়ে সিকিমের জিরো পয়েন্টে বেড়াতে যান প্রসেনজিৎ ও তাঁর তিন বন্ধু। সেখানে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় প্রসেনজিতের। তাঁকে দ্রুত লাচুংয়ে নামিয়ে আনা হয়। সেখানে মিলিটারি ক্যাম্প হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় প্রসেনজিতকে। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রবিবার সোনারপুরের বোসপুকুর ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে চার বন্ধু সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। চারজনের মধ্যে এক আত্মীয়ের হোটেল ব্যবসা আছে গ্যাংটকে। তাঁরা গ্যাংটক ঘুরে গাড়ি করে পাড়ি দেন লাচেন, লাচুংয়ের উদ্দেশ্যে। লাচুংয়ে রাত কাটিয়ে শুক্রবার সকালে যাত্রা শুরু করেন ইয়ুংথাম, জিরো পয়েন্টের দিকে। মৃত প্রসেনজিতের পরিবার সূত্রে খবর, সিকিমে যাওয়ার পরই প্রসেনজিৎয়ের ঠান্ডা লাগে। ওই অবস্থাতেই জিরো পয়েন্টে পৌছনোর পর প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাঁর।
পাহাড়ে ঘোরার নেশা ছিল প্রসেনজিতের। বাড়িতে ভাই ছাড়াও মা ও বাবা রয়েছেন। আকস্মিক দুঃসংবাদে তাঁরা প্রত্যেকেই ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের তরফে রাজ্য পর্যটন নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্যও দেওয়া হয়েছে। পর্যটন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সিকিমে প্রসেনজিতের দেহের ময়নাতদন্তের পর সেই তা শিলিগুড়িতে আনার ব্যবস্থা করবে পর্যটন দফতর। সেখানেই পরিবারের লোকেদের হাতে শনিবার দেহ তুলে দেওয়া হবে।
এ দিনই রাতে মৃতের এক কাকা- সহ এলাকার কয়েকজন শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। প্রসেনজিতের প্রতিবেশী নচিকেতা ঘোষ বলেন, 'প্রসেনজিৎ খুব ভাল ও মিশুকে ছেলে বলেই এলাকায় পরিচিত ছিল।' এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।