সংক্ষিপ্ত
- জেল থেকে ছাড়া পেয়েও রেহাই নেই
- যুবককে 'হেনস্তা-মারধর' প্রতিবেশীদের
- অপমানে আত্মহত্যা করলেন তিনি
- চাঞ্চল্য হুগলির হিন্দমোটরে
উত্তম দত্ত, হুগলি: স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর স্বামীকে গ্রেফতার পুলিশ। জেলে থাকতে হয় দীর্ঘদিন। জামিনের মুক্তির পর প্রতিবেশীরাই কি বাঁচতে দিলেন না? নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি আত্মহত্যা করলেন যুবক। মহিলা-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির হিন্দমোটরে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতি নাকি পরিবারের অবহেলা, সন্তান প্রসবের পর বেঘোরে মৃত্যু বধূর
ঘটনার সূত্রপাত আড়াই মাস আগে। হিন্দমোটরের সুকান্ত সরণির বাসিন্দা কুন্তল বসু। স্ত্রী অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিবেশীরা। সেই অভিযোগে ভিত্তিকে কুন্তলকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয় মৃতার স্বামীকে। শেষপর্যন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে রবিবার বাড়ি ফেরেন কুন্তল। খবর জানাজানি হতেই ঘটে বিপত্তি।
মৃতের দিদির স্মিগ্ধা দাশগুপ্তের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পর তাঁর ভাই-এর উপর চড়াও হন প্রতিবেশীরা। মারধর, বাড়িতে ভাঙচুর বাদ যায়নি কিছুই। এমনকী, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, তাঁকেও রেয়াত করেননি আশেপাশের লোকজন। বাড়িতে ঢুকতে পারেননি, দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে। দিদির সামনে কুন্তলকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান কুন্তল নিজেই। এরপর রবিবার রাতে বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মা-বাবার
এদিকে ভাইয়ের মৃত্যুর পর উত্তরপাড়া থানায় মহিলা-সহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কুন্তলের দিদি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ, ভাই ও দিদিকে হেনস্থা, এমনকী মারধরের ঘটনার স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা জড়িত। অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়াশিবির।