তদন্তকারী দলটি দুর্ঘটনার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত পরিস্থিতি পরীক্ষা করেছে। দেখা হয়েছে হেলিকপ্টারটি অবতরণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাইলটদের কোনও গাফিলতি এই দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে কিনা।
সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত ছাড়াও মৃতদের তালিকায় ছিলেন সেনানায়কের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী অর্থাৎ বাংলার সৎপাল রাই। রবিবার শিলিগুড়ি এসে পৌঁছালো সৎপাল রাইয়ের কফিন বন্দী দেহ।
মেয়ে কৃতিকা ও তরনী বাবা ও মায়ের শেষকৃত্যু সম্পন্ন করেছিলেন। পরিবারের সূত্রে আগেই জানান হয়েছিল রাওয়াত দম্পতি চিতাভষ্ম হরিদ্বাতে নিয়ে গিয়ে প্রথা মেনে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হবে।
দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকাকে একই চিতায় পাশাপাশি রাখা হয়েছিল। প্রোটোকল অনুসারে জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে ১৭টি বন্দুকের স্যালুট দেওয়া হয়।
পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় নয়াদিল্লির ব্রার স্কোয়ার শ্মশানে শেষ বিদায় জানানো হল জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে (Gen Bipin Rawat)। হিন্দু ধর্ম মতে জেনারেল ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতের (Madhulika Rawat) শেষ কাজ করলেন তাঁদের দুই কন্যা।
নীলগিরির নিচেই কোয়েমবাটুর। কোয়েম্বটুর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সুলুর। সেখানেই যাচ্ছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর সহকর্মীরা। পাহাড়ি রাস্তাই ছিল হেলিকপ্টারটির যাওয়ার যাত্রাপথ। পাহাড়ি রাস্তায় মেঘ বা কুয়াশা চলে আসাতেই দৃশ্যমানতা কমে যায়। তবে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ আদতে কী তার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আন্দাজ করা হয়েছে।
তামিলনাড়ু থেকে এদিনই দেহগুলি নিয়ে আসা হয় মৃতদেহ বহনকারী বিশেষ C130-J সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমানে। সেনা সূত্রের খবর ১৩টি দেহের মধ্যে মাত্র তিনটি দেহই শনাক্ত করা গেছে।
বুধবার তামিলনাড়ুর কুনুরে একটি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে কপ্টারের সামনে মেঘ বা কুয়াসা এসে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা।
বর্তামানে এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং এয়ার অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (AOC), ট্রেনিং কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সাউদার্ন এয়ার কমান্ডের এয়ার অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।