সংক্ষিপ্ত
তদন্তকারী দলটি দুর্ঘটনার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত পরিস্থিতি পরীক্ষা করেছে। দেখা হয়েছে হেলিকপ্টারটি অবতরণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাইলটদের কোনও গাফিলতি এই দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে কিনা।
২০২১ সালের ৮ই ডিসেম্বর চপার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ভারতের প্রথম সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের। সেই দুর্ঘটনায় তদন্তকারী ট্রাই-সার্ভিস কোর্ট শুক্রবার যান্ত্রিক ব্যর্থতা, নাশকতা বা কর্তব্যে গাফিলতির তত্বকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে খারিজ করে দিয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুসারে, উপত্যকার আবহাওয়ার অবস্থায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন হয়। ফলে ঘন মেঘে দৃশ্যমানতা পুরোপুরি চলে যায়। এরপরেই দুর্ঘটনা ঘটে। এটি পাইলটের বিভ্রান্তির কারণেই হয় বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
তদন্ত দলটি দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণের জন্য সমস্ত সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বিশ্লেষণ করেছে। তার ফলাফলের ভিত্তিতে, কোর্ট অফ ইনকোয়ারি কিছু সুপারিশ করেছে যা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, তদন্তকারী দলটি দুর্ঘটনার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত পরিস্থিতি পরীক্ষা করেছে। দেখা হয়েছে হেলিকপ্টারটি অবতরণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাইলটদের কোনও গাফিলতি এই দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে কিনা। তবে Mi-17V5 হেলিকপ্টারের কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আধিকারিকরা মিগ হেলিকপ্টারের রাশিয়ান ডিজাইনারদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেন। রাশিয়ান ডিজাইনারদের দাবি হেলিকপ্টারের পরিকাঠামোগত ব্যর্থতা এই দুর্ঘটনার কারণ নয়। হেলিকপ্টার থেকে উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স থেকে বিশদ বিবরণ পাওয়া কঠিন বলেও রিপোর্ট করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার দিন পরিস্থিতি সম্পর্কে লোকসভায় তথ্য দেওয়ার সময়, রাজনাথ সিং এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে একটি ত্রি-পরিষেবা তদন্তকমিটি গঠনের ঘোষণা করেছিলেন।
সূত্রের খবর সিডিএস বিপিন রাওয়াতের স্টাফ এবং পরিবারের সদস্যরাও এই এমআই-সিরিজ হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর এবং সুলুরের মধ্যে এক জায়গায় কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। সেনা সূত্রে জানান হয় জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এদিন ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে ফ্যাকাল্টি ও ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। সেই উদ্দেশ্যেই তিনি রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমআই -১৭ হেলিকপ্টারটি ১৪ জনকে নিয়ে যাচ্ছিল। যারমধ্যে ৯ জন যাত্রী ছিলেন। আর পাঁচ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তামিলনাড়ুর কুনুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনা চপারটি। হেলিকপ্টারটি নীলগিরি পাহাড়ের সুলুর বিমান ঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে টেকঅফ করেছিল। উড়ানের ১০ মিনিটের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুপুর ২টো নাগাদ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়।