Nitish Kumar News -

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেন নীতিশ কুমার। পুরনো সঙ্গী লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গেই হাত মেলালেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে রিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখান থেকেই আগামী রণনীতির কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

রাজনৈতিক সূত্রে খবর, লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে রাজ ভবনে গিয়ে সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে চলেছেন চলেছেন নীতিশ কুমার। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন তিনি।

সব দলই তাদের মুখপাত্র ও নেতাদের কোনো ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আরজেডি তার নিজস্ব মুখপাত্র প্যানেল ভেঙে দিয়েছে। বিজেপি নেতারাও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

নয়ই অগাষ্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার বিহারের সব প্রধান দল বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছে। নীতীশ কুমার অবশ্য এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি। তবে জেডিইউ-এর অন্দরে তৎপরতা বেড়েছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে তার অনুপস্থিতির কারণে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। এটি ছিল টানা চতুর্থ কর্মসূচি যাতে নীতীশ কুমার অংশ নেননি।

দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। যদিও আলোচনায় কী ঘটেছে তা জানা যায়নি এবং দুই দলের নেতারাই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে জানা গিয়েছে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে নীতিশ সনিয়ার।

নীতিশ কুমার আর বিজেপির ঠান্ডা যুদ্ধের মধ্যে সেই প্রশ্নটা ক্রমশই দানা বাঁধছে। এরই মধ্যে সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়ে জনতা দল ইউনাইটেড অর্থাৎ নীতিশ কুমারের দল থেকে পদত্যাগ করলেন আরসিপি সিং।

সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গভর্নিং কাউন্সিল হল একটি ফোরাম যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক প্রধান উন্নয়ন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির উপর আলোচনা করেন এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সমাধানের বিষয়ে সম্মত হন।"

মদ্যপায়ীদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁরা কেউ ভারতীয় নন। তাঁরা সকলে মহাপাপী!"

সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলাকারী যুবকের নাম শঙ্কর কুমার বর্মা। তার বাড়ি বখতিয়ারপুরেই।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি এটা শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই চ্যালেঞ্জ তৈরি করেনি, সরকারি অব্যবস্থার ছবিকেও আরও প্রকট করে দিয়েছে। এই বিষয়ে বলতে গিয়েই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির উপর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারন্দেকে।